বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনের পর দিন অর্থনৈতিক সংকটের চরম সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। কঠিন সমস্যার মুখে পড়ছে শাহবাজ সরকারও। অবস্থা এমনই খারাপ যে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেছে নাগরিকরা যেন চা খাওয়া বন্ধ করেন। পাঞ্জাব ও সিন্ধের পর এবার ইসলামাবাদেও রাত ৯টার পর থাকছে না বিদ্যুৎ। এমনকি রাত ৯টার সময়ই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত দোকান-বাজারও।
জানা যাচ্ছে, ইসলামাবাদ ঘোষণা করেছে সব দোকান, শপিংমল, বেকারি, কনফেকশনারি, অফিস, গুদাম সবকিছুই বন্ধ করতে হবে রাত ৯টার মধ্যেই। এছাড়া সমস্ত প্রদর্শনীশালাও বন্ধ হবে রাত ১০টার মধ্যে। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয় সমস্ত রেস্তোরাঁ, ক্লাব, খাবার হোটেল, সিনেমা থিয়েটার রাত ১১ঃ৩০ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। যদিও হাসপাতাল, পেট্রোল পাম্প, ওষুধের দোকান এই বিধিনিষেধের আওতায় নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন পাকিস্তানের অর্থনীতির যা বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাতে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশা পৌঁছতে পারে শ্রীলঙ্কার জায়গায়। শুধু বিদ্যুৎ সংকটই নয়। সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে।
মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছে গিয়েছে শিখরে। দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে প্রবল খাদ্য সংকট। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বর্তমানে পাক অর্থনীতি যে-জায়গায় দাঁড়িয়েছে, সেদিক থেকে দেখতে গেলে স্বাধীনতার পর এমন দৈন দশা পাকিস্তানে আগে তৈরি হয়নি। পাকিস্তানের আর্থিক বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতির সম্পুর্ণ দায় চাপিয়েছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উপরেই।
ডলারের নিরিখে পাকিস্তানের টাকার মান ক্রমশ নিম্নগামী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই সতর্ক করেন, দেশজুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলছে কৃষক সমস্যা। ফলস্বরুপ খাদ্য নিরাপত্তায় দেখা দিতে পারে চরম মাত্রায়। বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভরসা ছিল আইএমএফের উপর। কিন্তু সেদিক থেকেও আশাহত হতে হয় তাঁকে। তাই এখন পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। এরই সঙ্গে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ইউনিট প্রতি ৮টাকা। এমনকি পাকিস্তান সরকার গত একসপ্তাহে দুবার বেড়েছে ট্রেনের ভাড়া। সবমিলিয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান।