বাংলা হান্ট ডেস্ক : চরম আর্থিক সংকটে আমেরিকা। আগামী বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে সমস্ত ডেডলাইন! রাত ১২টার আগে বিলের টাকা মেটাতে না পারলে দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা (America)! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে চরম সংকট। সংকটে রয়েছে ভারতও (India)।
সম্প্রতি, ৩ ট্রিলিয়ান মার্কিন ডলারের অর্থনীতি স্পর্শ করেছে ভারত। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ২৩ ট্রিলিয়ানের। যা ভারতের থেকে প্রায় আট গুণ বেশি। অর্থনীতির বিচারে বিশ্বের এক নম্বর দেশ হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে দেউলিয়া হতে বসেছে আমেরিকা? অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওয়াশিংটন।
বাজেটে বিরাট অংকের ঘাটতি নিয়েই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে মার্কিন অর্থনীতি। মার্কিন আইন অনুযায়ী, সরকার চালানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ নেওয়া যায়। অর্থনীতির পরিভাষায় একে বলা হয় ডেট সিলিং। এর পর আরও ঋণ নিতে গেলে আমেরিকার সংসদ তথা মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হয়।
জানা যাচ্ছে, ১৯৬০ থেকে ৭৮ বার এই ঋণের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওমাবার জমানায় সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় ৭.৬ ট্রিলিয়ান টাকা ঋণ নেয় মার্কিন সরকার। ট্রাম্পের আমলে এই পরিমাণ সামান্য কমে দাঁড়ায় ৬.৭ ট্রিলিয়ান। আর জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরেই ঋণ নেন ২.৫ ট্রিলিয়ান ডলার।
চলতি বছরের জানুয়ারিতেই মার্কিন সরকারের ঋণ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ ট্রিলিয়ান ডলার। আমেরিকার কোষাধ্যক্ষ সচিবের দাবি, এখন এই ঋণ বা বিল মেটানো না গেলে অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে। এরই ডেডলাইন পয়লা জুন রাত ১২টা পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে গেলে বিশ্ব অর্থনীতিতে তার বড় প্রভাব পড়বে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ নিয়েছে আমেরিকা। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। আমেরিকা দেউলিয়া হলে এদেশের ২৩২ বিলিয়ন ডলার ফেরত পাওয়ায় আশা শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।