বাংলাহান্ট ডেস্ক : আম আদমি পার্টির বিধায়ক তথা দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর্থিক তছরূপেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই মন্ত্রীকে। অভিযোগ, কলকাতার একটি কোম্পানির সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতেই ওই মন্ত্রী, তাঁর পরিবার এবং ব্যাবসায়িক সংস্থাগুলির মোট ৪.৮১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এবার সেই মামলাতেই গ্রেপ্তার করা হল দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে।
বলাই বাহুল্য, আম আদমি পার্টির বিধায়কের বিরুদ্ধে এই আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল বিজেপি। গত এপ্রিল মাসেই আম আদমি পার্টির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান ও বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় মন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করার দাবিও তোলে বিজেপি।
এই বিক্ষোভ চলাকালীন দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্তা দাবি করেন যে এই আর্থিক তছরূপের সমস্ত বিষয়ই জানেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আদেশ বলেন, ‘সত্যেন্দ্র জৈন যে দুর্নীততে জড়িত সেই ব্যাপারে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল কেজরিওয়াল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিষয়ে নীরব থেকেছেন তিনি।’ তিনি এও দাবি করেন যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই কারণেই চুপ করে রয়েছেন যাতে শুধুমাত্র সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধেই আইনি পদক্ষেপ নেয় ইডি।
কিছু দিন আগেও অবশ্য সত্যেন্দ্র জৈনকে অত্যন্ত সৎ ব্যক্তি এবং নেতা হিসেবে সার্টিফিকেট দেয় দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি। তাদের দাবি ছিল যে জৈন এতটাই সৎ তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা নিজেই খারিজ করে দেবেন আদালত। যদিও উল্টোসুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গলায়। বলাই বাহুল্য, এখনও অবধি বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়াই মেলেনি আম আদমি পার্টির তরফে।