বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের 7.93 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। মোট 61টি অ্যাকাউন্টে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স এবং মানিক ভট্টাচার্যের মিউচুয়াল ফান্ড থেকে এই বিপুল টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে কয়েকটি মানিকের বন্ধু এবং আত্মীয়দের নামে ছিল।
ED has provisionally attached movable properties worth ₹7.93 Cr in the form of bank balance in 61 accounts and mutual funds belonging to Manik Bhattacharya,MLA, TMC & his family members in the Primary Teachers Recruitment Scam in WB. Total seizure
& attachment stands ₹111 Cr.— ED (@dir_ed) December 8, 2022
ইডি জানিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী সতরূপা ভট্টাচার্য এবং 2016 সালে মৃত মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জি নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে! এই অ্যাকাউন্ট মানি লন্ডারিং কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার হত বলে জানিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় বেসরকারি বিএড এবং প্রাইমারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ছাড়পত্র দিতেন। ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি তাদের চার্জশিটে এমনই অভিযোগ এনেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, এই শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত মিডলম্যান তাপস মন্ডল জেরার সময় এই তথ্য দিয়েছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অভিযোগ করেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা নন, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও বেসরকারি কলেজগুলিকে অনুপতি পত্র দেওয়ার জন্য টাকা নিতেন।
ইডি দাবি করেছে, জেরার সময় তাপস মন্ডল বলেছেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে 2011 সালের ডিসেম্বর মাসে গিয়েছিলেন। একটি কমিটি গঠন করা হয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে। তাপসবাবু সেই কমিটির একজন সদস্য হিসেবেই গিয়েছিলেন পর্ষদের দপ্তরে। ইডিকে তাপসবাবু জানিয়েছেন, স্বীকৃতি পেতে প্রশিক্ষণ কলেজগুলির যে সমস্যা হয় তা জানানোর জন্যই মূলত এই দপ্তরে গিয়েছিলেন। মানিক ভট্টাচার্য সেই সময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। সেখানেই তার পরিচয় হয় মানিকবাবুর সাথে। এরপর কলেজগুলির সাথে পার্থ ও মানিকের একমাত্র যোগসূত্র হয়ে ওঠেন তাপস। ইডি দাবি করেছে তাপস নিজেই জেরার সময় এইসব কথা জানিয়েছেন।
ইডির দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি চার্জসিটে দাবি করে বলা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য টাকার বিনিময় বেসরকারি বিএড ও ডিএলএড কেন্দ্রগুলিকে ব্যবস্থা করে দিতেন ছাড়পত্রের। এমনকি পার্থ চট্টোপাধ্যায় টাকার বিনিময়ে সংস্থাগুলিকে স্বীকৃতির ব্যবস্থাও করে দিতেন। ইডির দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই কাজের জন্য 6 থেকে 8 লক্ষ টাকা করে নিতেন।