কেরলে ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত সিপিএমের ৭৩ লক্ষর সম্পত্তি! বিরাট অ্যাকশন ED-র

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলার পর এবার ঘুন ধরেছে কেরলের (Kerala) বাম দুর্গেও। শনিবার সমবায় দুর্নীতি মামলায় দলের ৭৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি (Prpperty) বাজেয়াপ্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি (ED)। জানা যাচ্ছে ত্রিশূরের কারুভান্নুর সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে সিপিএম (CPM) ছিল। অভিযোগ এই ব্যাংকের তরফ থেকে বহু মানুষকে ভুয়ো ঋণ দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২৩ সালে তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। জানা গিয়েছে এখনো পর্যন্ত মোট ৫ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিপিএমের স্থানীয় একটি কমিটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-ও  বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই ব্যাংকে নাকি গচ্ছিত রয়েছে মোট ৬০ লক্ষ টাকা সহ ১৩ লক্ষ টাকার একটি জমিও।

প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি ওই সমবায় ব্যাংক থেকে যারা ওই  ঋণ পেয়েছিলেন তাদের অধিকাংশই সিপিএমের দলীয় তহবিলে টাকা দিয়েছেন।  ইডির দেওয়া এই এই চাঞ্চল্যকর তথ্যের কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান (Pinarayi Vijayan) এবং রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দন-সহ রাজ্যের প্রথম সারির সিপিএম নেতারা দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ব্যস্ত।

আরও পড়ুন: বউবাজারের পর সন্দেহের বশে সল্টলেকে পিটিয়ে খুন যবক! থমথমে গোটা এলাকা

সেই বৈঠকের মধ্যেই শনিবার দলের বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগের খবর যায় তাদের কাছে। এরপরেই রাজ্যে থাকা সিপিএম নেতারা শনিবার দুপুরের দিকে ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি দিয়ে জানায় ইডি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে তারা কোনওরকম দুর্নীতিতে জড়িত নয়।

Pinrai

জানা গিয়েছে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় এই উদ্ধার হওয়া টাকা এবং জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ED-র দাবি এই দুর্নীতি মামলায় ধৃত দু’জন নাকি আদালতে স্বীকার করেছেন, ত্রিশূরের জেলা কমিটির CPIM নেতাদের তত্ত্বাবধানেই নাকি ব্যাঙ্কের লেনদেনে অনিয়ম হয়েছে। জবাবে এম ভি গোবিন্দন বলেছেন, ‘পার্টির দীর্ঘদিনের নিয়ম রয়েছে সমস্ত অফিস এবং অন্যান্য বস্তু নির্দিষ্ট জেলা কমিটির নামেই রেজিস্টার করাতে হয়। এখন ED CPIM-এর পার্টি অফিস তৈরির নাম করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমরা আইনি পদ্ধতি এবং রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করব। যদিও এখনও পর্যন্ত এই মর্মে কোনও নোটিশ আমরা পাইনি।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর