“B.Ed ও D.El.Ed কলেজ পিছু ৫০ হাজার টাকা করে নিতেন”! আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে দাবি ED-র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। উত্তাল দশা বঙ্গের। গ্রেফতার হচ্ছেন একের পর এক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশেষ ব্যাক্তিত্ব। এরই মাঝে জেলে থাকা মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করল ED (Enforcement Directorate)। ইডি সূত্রে দাবি B.Ed ও D.El.Ed কলেজ পিছু ৫০ হাজার টাকা আদায় করতেন মানিক।

ইডির দাবি, প্রকাশ্যে খোলাখুলি ‘তোলাবাজি’ করে বিপুল টাকা আদায় করেন মানিক। কলামন্দিরে হওয়া একটি মিটিংয়েই একেকটি বেসরকারি বিএড (B.Ed)ও ডিএলএড (D.El.Ed) কলেজের কাছ থেকে প্রকাশ্যে নেওয়া হতো ৫০ হাজার টাকা। ওই টাকা জমা হতো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর ছেলের সংস্থার ব‌্যাংক অ‌্যাকাউন্টে। প্রসঙ্গত মানিক পুত্রের অ‌্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয় বলে দাবি ইডির।

গত ২৩ নভেম্বর, প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করেছে ইডি। রাজ্যের বেসরকারি বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলিকে এনওসি দেওয়ার নাম করেও পার্থ চট্টোপাধ‌্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য মিলিত ভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি।

মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত জানান সিবিআই ও ইডি একসঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির মামলা করতে পারেন না। আর কতদিন তদন্তের নাম করে তাঁকে জেলা আটকে রাখা হবে? এর পাল্টা দাবিতে ইডির আইনজীবী বলেন , এই দুর্নীতির ফল ভোগ করতে হচ্ছে সেই চাকরিপ্রার্থীদের, যাঁরা রাস্তায় আন্দোলন করছেন। নিয়োগে দুর্নীতির ফলে আজকে রাজ্যের হবু শিক্ষক ও শিক্ষা ব্যাবস্থার এই দুর্দশা।

Manik Bhattacharya,Enforcement Directorate,SSC,মানিক ভট্টাচার্য,ইডি,এসএসসি

বৃহস্পতিবার মানিক ভট্টাচার্যকে ব‌্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তার জামিনের স্বপক্ষে প্রশ্ন তোলেন তার আইনজীবী। অন্যদিকে ইডির আইনজীবী আদালতে তার জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের বক্তব‌্য শোনার পর ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন বিচারক।