বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলার রহস্যভেদ করতে মরিয়া ইডি (ED)। গত বছর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রতর গ্রেফতারির বহু মাস পর কিছু দিন আগেই মেয়ে সুকন্যাকে হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। বাবা ও মেয়েকে একজোটে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এরই মধ্যে সম্প্রতি কেষ্টর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা চার্জশিটে ইডির দাবি, দলের নামে খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হত। ইডির দাবি জিজ্ঞাসাবাদে এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিই দিয়েছেন বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পার্টি অফিসের কর্মী শ্যামাপদ কর্মকার। খোদ দলেরই কর্মীর এই বয়ানে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোর্টে পেশ করা ইডির ২০৪ পাতার চার্জশিট থেকে এই তথ্যই সামনে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রহস্যের গভীরে পৌঁছতে এই শ্যামাপদ কর্মকারকে তলব করা হয়। এরপর গত ২২ মার্চ শ্যামাপদ ইডির কাছে নিজের বয়ান দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ইডির কাছে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে দলের নামে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।
শ্যামাপদর দাবি দলের কর্মী হিসেবে প্ৰতি বছর যে কোনও ভোটের সময় দেওয়া লিখনের কাজ করেন তিনি। ইডির কাছে এই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জানান, সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তার নামও ছিল। ওই ব্যাঙ্কে তার সঙ্গে তাপস মণ্ডলেরও নামে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল বলেও দাবি শ্যামাপদর।
ইডি সূত্রে খবর, শ্যামাপদ জেরায় বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডল ও তার প্রাক্তন দেহরক্ষী (বর্তমানে জেলবন্দি) সায়গল হোসেনের নির্দেশেই খোলা হয়েছিল সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গুলি খোলা হয়েছিল। দলের সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রায় প্রায়ই টাকা জমা করা হত বলে দাবি ইডির। দলের নামে গড়া এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হত বলে দাবি ইডির। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গুলির চেকবুক অনুব্রত মণ্ডল ও তার সঙ্গী সায়গলের হোসেনের কাছে থাকত।