বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘এ তো সবে শুরু, স্কুল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় মোট ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে’, আদালতের সামনে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করলেন ইডির (ED) আইনজীবী। ফলে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে কুড়ি কোটি ওপর অর্থ উদ্ধার করার পর এখনো ১০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দিকেই যে ইডির নজর রয়েছে, তা বলাবাহুল্য। একই সঙ্গে আদালতে ইডির দাবি, “স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং প্রাথমিক দুই নিয়োগ দুর্নীতিতেই জড়িত রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি অর্থ, একাধিক সোনা গয়না, মোবাইল ফোন এবং বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ইডি। তবে তাদের মতে, “এটি কেবলমাত্র সূচনা মাত্র। এক্ষেত্রে মোট ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।” গতকাল আদালতের সামনে ইডি আইনজীবী বলেন, “একটি পেঁয়াজ মাত্র পাওয়া গিয়েছে। তবে এর খোসা ছাড়ানোর পর আরও বেশি তথ্য সামনে উঠে আসবে। এই মুহূর্তে আরো ১০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দিকে নজর রয়েছে আমাদের।”
আদালতে শুনানি চলাকালীন ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রাথমিক শিক্ষক এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের একাধিক নথি এবং তথ্য উদ্ধার করা গিয়েছে। ফলে এটা পরিষ্কার যে, গ্রুপ ডি এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও জড়িত রয়েছেন তিনি।”
এছাড়াও মামলার শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী জানান, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মিলে যৌথভাবে একাধিক সম্পত্তি কিনেছিলেন।” এক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ এবং সুসম্পর্ক না থাকলে এত সম্পত্তি কেনা যায় না বলে দাবি করেন তিনি। সূত্রের খবর, ২০১২ সালে পার্থ-অর্পিতার নামে একাধিক সম্পত্তি ক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে জেরার মাধ্যমে আরো একাধিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আদালতে জানায় ইডি।
অপরদিকে তৃণমূল মন্ত্রীর আইনজীবীর তরফ থেকে জানানো হয়, “পার্থবাবুর জুনিয়রের (অর্পিতা) কাছে টাকা কিংবা সম্পত্তি থাকলেই সেটা যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হতে হবে, তার কোন অর্থ নেই।” তবে শেষ পর্যন্ত গতকাল পার্থ এবং অর্পিতা দুজনকেই ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে আরো বেশ কিছু নয়া তথ্য সামনে উঠে আসবে বলে অনুমান ইডির।