বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি (West Bengal Ration Scam) নিয়ে চলছে তদন্ত। এরই মাঝে এবার বাংলায় চালু রেশন কার্ডের সংখ্যা কত তার হিসাব জানতে চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (Enforcement Directorates)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে খাদ্য দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে তদন্তকারী এজেন্সি। তবে সেই চিঠির কোনো উত্তর এখনও মেলেনি। হাল ছাড়তে নারাজ ইডিও। ফের খাদ্য দফতরকে চিঠি পাঠাতে উদ্যত হয়েছেন গোয়েন্দারা।
ইডি সূত্রে খবর, বাংলার রেশন মামলার তদন্তের সূত্রেই রেশন কার্ড সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন। তাই খাদ্য দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে রেশন কার্ডের মাধ্যমেও রেশনে দুর্নীতি হয়েছে কী না তার খোঁজ পেতেই কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
খাদ্য দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্যে কতগুলি অ্যাক্টিভ রেশন কার্ড বা চালু রেশন কার্ড রয়েছে। চালু থাকা রেশন কার্ডের সংখ্যা কত? ২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যে মোট কত রেশন কার্ড ছিল? বর্তমানে সেই রেশন কার্ডের সংখ্যা কততে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি রেশন কার্ড ডিজিটালাইজ়ড হওয়ার সময় রাজ্যে মোট কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে সেই পরিসংখ্যানও জানতে চেয়েছে ইডি।
প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাসে টানা ৫৩ ঘণ্টা অভিযানের বাকিবুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বর্তমানে ইডি হেফাজতে বাকিবুর। এই বাকিবুরের সূত্র ধরেই গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক ওরফে বালু। বহু ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর অক্টোবরেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্ৰিয়। গ্রেফতার হয়েছেন আরও অনেকেই। বর্তমানে জোর কদমে চলছে রেশন দুর্নীতির তদন্ত।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ৪৫৯৯ জনের তালিকা দিল কমিশন, কাকে টাকা দিয়েছেন তারা? SSC মামলায় নয়া মোড়?
ইডি সূত্রে খবর, রেশন কার্ডের তথ্য নিয়ে বর্তমানে আরও দুটি বিষয় জানতে চাইছেন তারা। প্রথমত, মৃত্যুর পরে কোনও ব্যক্তির রেশন কার্ড নিয়ম মেনে বাতিল করা হচ্ছে, না কী সেই রেশন কার্ডের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে রেশন তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি অ্যাক্টিভ রেশন কার্ডের সংখ্যা মাধ্যমে রাজ্যে রেশনের চাহিদা সম্পর্কেও ধারণা পেতে চাইছেন তারা।