বিপাকে ED! তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ নিয়ে আদালতে হাজির কুন্তল! যা হল শুনানিতে…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) রমরমা! শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। কিছুদিন আগে ইডির (Enforcement Directorate) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন জেলবন্দি কুন্তল। সেই ঘটনার জল গড়িয়েছিল বহুদূর। রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল। এরই মধ্যে এবার ফের ইডির বিরুদ্ধে সরব নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ।

তবে এবার শুধু মুখে বলা নয়, একেবারে প্রমাণ সহ হাজির হলেন কুন্তলবাবু। সোমবার সকালে আদালতে তোলা হয় ধৃত কুন্তল ঘোষকে। গাড়ি থেকে নেমেই সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কুন্তল। ফের একই দাবি করে কুন্তল বলেন ইডি তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মিথ্যে কথা বলাচ্ছে।

   

এদিন কুন্তল যখন গাড়ি থেকে নামে তখন তার হাতে একটি খাম ছিল। সেই বিষয়ে কথা উঠতেই কুন্তল বলেন, “ইডি চাপ দিয়ে মিথ্যে বলাচ্ছে। সব প্রমাণ নিয়ে এসেছি আজ। সব আদালতে দেব।” প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে আদালতে জমা দেওয়া কুন্তলের এমনই এক চিঠির জেরে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইডির প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় অভিষেককে।

আর এদিন ফের সেই চিঠি। যদিও জানা গিয়েছে শেষ পর্যন্ত আদালতে সেই চিঠি জমা পড়েনি। শুনানি চলাকালীন কোনও চিঠিই তিনি আদালতে দেননি বলে সূত্রের খবর। এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময় চিঠির ব্যাপারে আর কিছু বলতেও শোনা যায়নি কুন্তলকে।

kuntal ,

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে সভায় অভিষেক অভিযোগ তোলেন, যে সারদা মামলায় এক সময়ে জেল হেফাজতে থাকা মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে চাপ তার নাম নিতে চাপ দিয়েছিল ইডি ও সিবিআই। ঘটনাচক্রে এর পরেই গত ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল কুন্তল আলিপুর আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানাকে চিঠি পাঠিয়ে কুন্তল জানান, অভিষেকের নাম বলার জন্য তার উপরেও চাপ দেওয়া হচ্ছে।

এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন কুন্তল। এর পর প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগও দায়ের করেন কুন্তল। কুন্তলের অভিযোগের তদন্ত করতে সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী এই মামলায় অভিষেককে জেরা করা যাবে বলেও জানান তিনি।

এর পর ঘটনাক্রমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলাটি যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় অপরিবর্তিত রাখেন বিচারপতি সিনহা। এরপর এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। গত ১৪ জুলাই বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সিবিআই জানায়, কুন্তলকে কেউ চাপ দিচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র মেলেনি। এরই মধ্যে এবার ফের কুন্তলের মুখে চিঠি প্রসঙ্গ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর