ফ্ল্যাট থেকে কোথায় যেত টাকা? অর্পিতা-পার্থ কাণ্ডে বড় তথ্য এল ইডির হাতে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘অ পা’-র চাইল্ড কোম্পানি! এবার খোঁজ মিলল এমনই দুই কোম্পানির। এর আগে অর্পিতার নামে মোট ৬টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আত্মীয়দের নামে থাকা কোম্পানিরও হদিশ পাওয়া গিয়েছিল বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রথম এমন দুটি সংস্থার হদিশ মিলল, যা যৌথভাবে রয়েছে।

ইডি (ED) সূত্রে জানা যাচ্ছে , অর্পিতা ও পার্থ, দু’জনের নামে রয়েছে এই কোম্পানি দুটি। দুটি কোম্পানিতেই ডিরেক্টর হিসেবে নাম উল্লেখ আছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)। কোম্পানির নথি থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১১- ২০১২ সালে রেজিস্ট্রশেন করা হয় ওই দুই কোম্পানির। সংস্থা দুটির ঠিকানা কলকাতাই। তবে এই দুটি কোম্পানির অস্তিত্বও শুধু-ই ‘খাতায় কলমে’ বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। এরই সঙ্গে হদিশ পাওয়া গেছে পার্থ-অর্পিতার জয়েন্ট নামে থাকা আরও বেশ কিছু সম্পত্তির।

   

তদন্তে সামনে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। আরও ২টি বিলাসবহুল গাড়ির কেনার কথা হয়েছিল অর্পিতার নামে। চলতি সপ্তাহেই গাড়িগুলি ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল। যদিও জানা যাচ্ছে, ‘কাগুজে সংস্থা’র মাধ্যমে বুকিং হয়েছিল গাড়িগুলির। তবে এখনও উদ্ধার করা যায়নি অর্পিতার ৪টি বিলাসবহুল গাড়ি। সেগুলি টাকাবোঝাই ছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। রাতারাতি সেগুলিকে সরিয়ে ফেলা হয়। সেগুলির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩টি ডায়েরি। সেই ৩টি ডায়েরিতেই পাওয়া টাকা লেনদেনের হিসেব। পাওয়া গিয়েছে বেশ কয়েকটি নামও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোথায় কোথায় কত টাকা পাঠানো হতো? সেই গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছে বলে দাবি করছে ইডি।

এদিন আবার ইএসআই জোকাতে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় চুপ থাকলেও, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘আমার টাকা নয়। আমার অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে টাকা ঢোকানো হত।’ এদিন জোকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পার্থকে উদ্দেশ করে জুতোও ছোঁড়েন এক মহিলা। এই ঘটনায় হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায় হাসপাতাল চত্ত্বরে।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর