বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাছের ব্যবসা সহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন পন্থায় দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেন শাহজাহান শেখ (Seikh Shahjahan)। আদালতে আগেই এই অভিযোগ তুলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, শাহজাহান প্রথমে নগদ টাকা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে দিতেন। এরপর সেই টাকাই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করাতেন ওই ব্যক্তি বা সংস্থা দিয়ে। আর এভাবেই দুর্নীতি, কুকীর্তির কালো টাকা সাদা করতেন এই দাপুটের নেতা। এসবের মাঝেই এ বার ইডির (Enforcement Directorates) স্ক্যানারে শাহজাহানের হিসাবের খাতা।
ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহান সহ তার কর্মচারী ও ঘনিষ্ঠদের জেরা করে তাদের নজরে এসেছে নেতার হিসাবের খাতা। সেই খাতার সূত্র ধরেই এবার তদন্তের গভীরে পৌঁছতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে কোনও নথিতে শাহজাহানের ‘কালো’ টাকার হিসাব ছিল না। তাহলে কোথায় সেই হিসেব রাখতেন সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল হোতা?
গতকালই শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শাহজাহানের একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন বন্ধ করতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল ইডি। পাশাপাশি মৎস ব্যবসায়ী শাহজাহানের মাছ ব্যবসা সংক্রান্ত সংস্থা ‘মেজার্স শেখ সাবিনা ফিশ সাপ্লাই ওনলি’-র একটি অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ় করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শাহজাহান শেখের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। যার মাধ্যমে ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য প্রাথমিকভাবে ইডির হাতে এসেছে।
আরও পড়ুন: স্বামীকে টেক্কা! সুকান্তর স্ত্রী কোয়েল চৌধুরীর সম্পত্তির পরিমাণ জানলে ভিরমি খাবেন
কালো টাকার হিসেব সরকারি নথিতে রাখতেন না শাহজাহান, তা হলে মেয়ের নামের সংস্থার এই এত টাকার লেনদেনের হিসাব কোথায় রাখতেন শাহজাহান? কাকে কত টাকা দিচ্ছেন, কার থেকে কত পাচ্ছেন, বাকি কত রইল এসবের হিসেবের বিষয়ে ইতিমধ্যেই জেরা করে তদন্তকারীদের হাতে কিছু তথ্য এসেছে। জানা গিয়েছে একাধিক সাদা খাতায় ‘কালো’ টাকার হিসাব লিখে রাখতেন শাহজাহান বা কখনো তার কর্মচারীরা। জিজ্ঞাসাবাদে ইডি জানতে পেরেছে সেই হিসাবের খাতা শাহজাহানের দফতরেই রয়েছে। এবার সেইসব খাতা নিজেদের কাছে নেবেন তদন্তকারীরা।