বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। বহুবার আবেদন করেও জামিন মেলেনি। তবে এই একই মামলায় সম্প্রতি নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তিন অভিযুক্ত। এবার তাদের জামিন খারিজের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
চলতি মাসেই পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ইডির বিশেষ আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন অভিযুক্ত-বাকিবুর রহমান, শংকর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ দাস। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ না মেলায় জামিন দেওয়া হয়। এবার তাদের জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ছুটল ইডি। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে এই শুনানি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গত বছর অক্টোবর মাসে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। পর তার সূত্র ধরেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর একে একে বিশ্বজিৎ দাস ও শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। সেই থেকে জেলে থাকলেও সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন তিন অভিযুক্ত।
এদিকে গতকালই রেশন দুর্নীতি মামলায় তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটস। রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত আনিসূর রহমান ও আলিফ নূরের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে। এছাড়াও আরও দুই ডিলারের নাম রয়েছে চার্জশিটে। প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্ৰিয় ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের আত্মীয় হলেন দুই ভাই আনিসুর ও আলিফ।
মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেটের এজলাসে চার্জশিটে পেশ করে ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির ১০০০ কোটির লেনদেন হয়েছে এই আনিসূর ও আলিফের মাধ্যমে। প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গেও দু’জনের লেনদেনের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে ১৫৭ পাতার চার্জশিটে। এদিন আদালতে অন্তত তিন হাজার নথি জমা দিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন: রবিবার বিকেলেই ঘুরে যাবে ‘খেলা’? এবার এনার সঙ্গে ‘গোপন বৈঠকে’ ইচ্ছুক অনুব্রত! কে সেই ব্যক্তি?
চার্জশিটে ৩৫০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উল্লেখ রয়েছে। ইডির বিস্ফোরক দাবি, রেশন দুর্নীতির বেআইনি লেনদেন হয়েছে ৩৫০ টির অধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। অভিযুক্তদের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যুক্ত চারটি সংস্থার কথারও উল্লেখ করে জানিয়েছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার তৃতীয় চার্জশিটের পর বালুর বিপদ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞমহলের।