বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরও একবার নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল (TMC)। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এল শাসক দলের আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে। হুগলির বলাগড়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ শুক্রবার সকালে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান করে ইডি-র (ED) একটি দল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১১ জনের এই দলে রয়েছেন ইডি-র মহিলা আধিকারিকরাও। একই সঙ্গে আজ সকাল থেকেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির আরও এক তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের চিনার পার্কের ফ্ল্যাটেও।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিশেষ ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক নাম হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে শান্তনু অন্যতম। বর্তমানে তিনি হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের স্থায়ী সদস্য। জিরাট কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর জিরাট বাসস্ট্যান্ডে মোবাইলের সিম আর প্রসাধনীর দোকান চালাতেন শান্তনু। তাঁর বাবা ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। বাবার মৃত্যুর পর শান্তনু বিদ্যুৎ দফতরের কাজে যুক্ত হন। সেই সময় থেকেই একটু একটু করে রাজনীতিতে যুক্ত হতে থাকেন।
জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান প্রথমে। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা হয়ে ওঠেন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান। তারপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বও দিয়েছিল দল।
এদিন দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে হুগলিতে গিয়েছেন বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংস্থা দিয়ে বিজেপি এই সব করার চেষ্টা করছে। আমরা ভয় পাচ্ছি না। আমরা শুধুমাত্র মানুষের কাছে মাথা নত করব, অন্য কারও কাছে মাথা নত করব না।’