মুখ্যমন্ত্রীর OSD সহ বহু আমলা ও ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা ইডির, তুলকালাম কাণ্ড রাজ্যে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে এ অভিযান শুরু করেছে ইডি। ইডির (ED) টিম ১২ টিরও বেশি জায়গায় একসাথে হানা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের ঘাঁটিতে চলছে এই অভিযান। যাদের ঠিকানায় ইডি অভিযান চালিয়েছে তাদের মধ্যে অনেক আইএএস অফিসার এবং বেশ কিছু ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রত্যেকেই ভূপেশ বাঘেলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই জানা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে ছত্তিশগড়ে বেশ কয়েকজন আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের মধ্যে রায়গড়ের কালেক্টর রানু সাহুর নামও রয়েছে। তারা ছাড়াও খনি বিভাগের ডিরেক্টর, আইএএস অফিসার জেপি মৌর্য, মার্কফেডের এমডি এবং আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণোই, সূর্যকান্ত তিওয়ারির বাড়িতেও অভিযান চালানো হচ্ছে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গেও পৌঁছেছে ইডি দল। গোপন সূত্রে খবর, এই অভিযানে এখনও পর্যন্ত ২০০ কোটির সম্পত্তি সামনে এসেছে।

কিছুদিন আগেই বেআইনি খনন নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এই তল্লাশিতে উঠে আসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ। আর তারপরই মঙ্গলবার একাধিক ব্যবসায়ী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয় ইডি।

এর আগে ৩ আগাস্ট, আয়কর বিভাগ রায়পুর, কোরবা এবং রায়গড়ে ইস্পাত এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বাড়ি হানা দেয়। ৩ আগাস্টের তালিকায় ছিলেন এইচএসআর রোলার, নূতন ইস্পাত, গ্র্যাভিটি ফেরাস, ধনকুন্ড স্টিলের মালিক ধীরাজ সুরানা, ভবানী মোল্ডার্সের সুনীল আগরওয়াল এবং নির্মান টিমটি-এর মালিক রাজেশ টোলা, রায়পুর, কোরবা, রায়গড়ে তাদের অবস্থানে অন্তর্ভুক্ত। দুই দিন পরে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একযোগে রায়পুর, দুর্গ-ভিলাই এবং রাজনন্দগাঁওতে কিছু টেক্সটাইল এবং জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও অভিযান চালান হয়।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর