বাংলাহান্ট ডেস্ক : বালিগঞ্জে (Bullygunje) মোটা অঙ্কের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার সন্ধান মিলতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। এই ঘটনার জেরে ইডির কাছে একজন যথেষ্ট প্রভাবশালী মহিলার উপস্থিতি সামনে এসেছে। এখন তাঁরই খোঁজ চালাচ্ছে রাজ্যের এই তদন্তকারী সংস্থা। এই মহিলার সাথে অন্যান্য অনেক ধনী মানুষের পরিচয় আছে বলেই সন্দেহ করছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেসন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে জানানো হয় যে, তাঁরা যদি এই মহিলার পরিচিতি উদ্ধার করতে পারেন, তাহলে তাঁদের তদন্ত চালাতে যথেষ্ট সুবিধা হবে। কিন্তু কে এই রহস্যময়ী নারী তাঁর খোঁজ তাঁরা এখনো পাননি। ইডির আধিকারিকরা আরও জানান যে, তাঁরা সন্দেহ করছেন, সম্প্রতি শরৎ বোস রোডের গেস্ট হাউসটি বিক্রির সময় যে চুক্তি হয়েছিল এই নারী তখনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গোপন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বিভিন্ন মানুষকে অসৎ উপায়ে সাহায্যও করেছেন। তিনি তাঁদের জাল টাকাকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের কালো টাকাকে সাদা করেছেন। তবে কোন তথ্যের ভিত্তিতে ইডি একজন নারীকে এতসব অভিযোগ করছেন? ইডির দুঁদে আধিকারিকরা দাবী করেন যে, তাঁরা শুধু শুধু হাওয়ায় ভেসে এই সকল মন্তব্য করছেন না। তাঁদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে।
রাজ্য জুড়ে যে দুর্নীতি চলছে, তাতে একজন মন্ত্রী বেআইনি পথে যাবতীয় যা টাকা রোজগার করতেন তাঁর খেয়াল এবং হিসেব রাখতেন বিক্রম শাকারিয়া নামের একজন। যিনি একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক। এই বিক্রমের সাথেই ফোনে যোগাযোগ রাখতেন ওই মহিলা। সব রকমের জমি বাড়ি সংক্রান্ত আলোচনা করা হতো এই মহিলার সাথে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে ইডি জানতে পেরেছে, গেস্ট হাউসটি বিক্রির বিষয়ে মালিককে বুঝিয়েছিলেন ওই মহিলা। ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগও করিয়ে দেন। তিনি যে টাকা রোজগার করেন তা তিনি নিজের ব্যবসার কাজে ব্যবহার করতেন। ওই গেস্ট হাউস মালিকের সঙ্গে মোবাইলে বিভিন্ন ব্যক্তির কথোপকথনের সূত্র ধরেই হদিশ মেলে এই রহস্যময়ী নারীর।
সূত্রের খবর, পাঁচ মাস আগে দক্ষিণ কলকাতার একটি অফিসে গেস্ট হাউস মালিকের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। সেখানে বিক্রমও ছিলেন। সেখানে মহিলা যোগাযোগ করেন মনজিত সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে। জিট্টি যে প্রভাবশালীদের অবৈধ কালো টাকা দেখভাল করেন সেটা দু’জনেই জানতেন। ধাবা মালিককে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে রাজি করাতেই ওই রহস্যময়ী নারী মোটা টাকা কমিশন পান বলেও জানা গিয়েছে।