বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতে ফের ধাক্কা খেল ইডি (Enforcement Directorate)। দু সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। গরু পাচার মামলা (Cow Smuggling Case) দিল্লিতে স্থানান্তর করার আরজি নিয়ে এদিন ফের আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি। অনুব্রত মণ্ডল এবং তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন সংক্রান্ত মামলায় জোর প্রশ্নের মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ঠিক কোন আইনে এই মামলা সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে ইডি? আসানসোল থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করতে চাওয়ার পেছনে কারণ কী? এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এই সকল প্রশ্নের মুখে পড়ে তদন্তকারী সংস্থা।
আদালত সূত্রে খবর, বিচারকের প্রশ্নের মুখে নিজেদের এক্তিয়ার নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারলেন না ইডির আইনজীবী অভিজিত ভদ্র। এদিন বিচারক প্রশ্ন তুলে ইডিকে বলেন, ” ইচ্ছে করলেই যে কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি, কোনও মামলা যে কোনও রাজ্যের আদালতে নিয়ে যেতে পারে?’’
আরও পড়ুন: বৈশাখীকে রেখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে লকআপে শোভন! কারণ কী? কী কথা হল তাদের?
বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘পিএমএলএ এর মামলা যে ইডি করবে, তার সরকারি নির্দেশ বা গেজেট নোটিফিকেশন কি ইডির কাছে আছে?’’ ইডি তরফে আইনজীবী বলেন, আমরা কেবল আর্থিক দুর্নীতির দিকটা দেখছি। আদালত ফের প্রশ্ন করেন আইনের কোথায় লেখা আছে যে অর্থনৈতিক দুর্নীতির তদন্ত একমাত্র ইডিই করতে পারে?
ইডির আইনজীবী আইনের একাধিক ধারার উল্লেখ করে আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেখালেও বিচারককে বোঝাতে পারেনি। ইডির যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি বিচারক। প্রসঙ্গত, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।
আরও পড়ুন: ৭ দিনের মধ্যে ভাতা ফেরত দিন, নয়তো…! ৭০০জন দুঃস্থ মহিলার হাতে এল সরকারি নোটিস
গরু পাচার মামলাতেই দিল্লির তিহাড় জেলেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা ও অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইডি ৪৪(১/সি) নম্বর ধারার উল্লেখ করে এই মামলা সরানোর জন্য আবেদন জানায়। এরপর গত ১৯ অগস্ট এই মামলার শুনানিতে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি।
আর এদিনও আসানসোলে সিবিআই বিশেষ আদালতে অস্বস্তিতে ইডি। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে শনিবার বিচারক ইডির আইনজীবীকে আরও সময় দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ সেপ্টেম্বর।