নিয়োগ দুর্নীতিতে মাথা ঘুরে যাওয়া মোড়! এবার প্রভাবশালীর ফোনে সুজয়কৃষ্ণর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে শিক্ষক দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। চলছে তদন্ত। পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনছে ED-CBI। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী, শাসকদলের বহু দুঁদে নেতা, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলবন্দি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। এবার সুজয়কৃষ্ণর সঙ্গে উঠে এল মানিক যোগ।

পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) মোবাইল ফোনে মিলেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। এই নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল তদন্তকারী সংস্থা।

আর কী জানা যাচ্ছে? আদালতে ইডি জানিয়েছে ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণর। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাহলে মানিকজোড় কী সুজয়-মানিক! এমনটাই শঙ্কা ইডির। যদিও ইডির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে এই কালীঘাটের কাকু।

আরও পড়ুন: ‘এত লাফালাফি কেন, যত..?’, দেশে ফিরেই রেগে বোম সৌরভ, হঠাৎ হলটা কী মহারাজের?

ইডি সূত্রে খবর নিজের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য মানিকের দফতরে যাতায়াত ছিল কালীঘাটের কাকুর। ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট এসব মানিকের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতেন কাকু। জড়িত ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তার পরামর্শেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থের কাছে।

partha kuntal sujay manik

ইডির দাবি, ২০১৪-র টেটে পাস ও নিজের প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দিতে এই প্রভাবশালী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দ্বারস্থ হন জেলবন্দি কুন্তল ঘোষ। পরে কাকুর নির্দেশেই তাকে ৭০ লক্ষ টাকা ও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ১০ লক্ষ টাকা দেন কুন্তল। যদিও এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সুজয়বাবু।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর