মিথিলেশের বদলে মুকেশ! এসেই অ্যাকশন, এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঘুম উড়লো অনেকের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তোলপাড়। দিনের পর দিন মাসের পর মাস ধরে চলছে তদন্ত। তবে দুর্নীতির কিনারা করা যায়নি। কলকাতা হাইকোর্টে বারংবার প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে ইডির (Enforcement Directorates) অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তার বদলে এবার সেই জায়গায় এলেন মুকেশ কুমার।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সংস্থার সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির বিবরণ নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় ইডি। সেই রিপোর্ট নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা। ইডির অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে (IO of ED Mithilesh Mishra) বিচারপতি বলেন, “আপনার কি এই ধরনের তদন্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ রয়েছে? নাকি অব্যহতি চাইছেন!” বিচারপতির কড়া প্রশ্নবাণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এজলাস।

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কর্তা মিথিলেশ কুমারের নেতৃত্বে এতদিন ধরে যে তদন্ত স্লথ গতিতে চলছিল। এরপরই যত দ্রুত সম্ভব তার বদলে নতুন অফিসার নিয়োগ করার জন্য ইডির ডিরেক্টরকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহা। ৩ অক্টোবর এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: বড় ছেলে রেলে চাকরি করেও তাকে দেখেন না! বৃদ্ধা মায়ের কান্না শুনে বিরাট নির্দেশ বিচারপতি গাঙ্গুলির

বিচারপতির নির্দেশের পরই ইডি নতুন তদন্তকারী অফিসার মুকেশ কুমার দায়িত্বে এসেছেন। ইতিমধ্যেই দায়িত্বগ্রহণ করেছেন তিনি। কোন পথে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এগোবে সেই নিয়ে তদন্তকারী অফিসারদের পাশাপাশি দিল্লি-র সদর দফতরের আধিকারিকদের সাথেও তিনি কথা বলেছেন বলে সূত্রের খবর।

high court

সূত্রের খবর, মুকেশ কুমার ছাড়া আরও একজন তদন্তকারী অফিসারকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যিনি মুকেশবাবুর সহযোগী হিসাবে কাজ করবেন। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে নতুন অফিসার নিযুক্ত হওয়ায় পর ইতিমধ্যেই এই মামলার কেস ডায়েরি হস্তান্তরিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর