কেষ্টর কালীপ্রতিমার গয়না রাখা যেই ব্যাঙ্কে, এবার সেখানেই হানা দিল ED! শোরগোল বোলপুরে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তিহারেই এখন দিন কাটছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার। দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো, গত বছর সব উৎসবই জেলে কেটেছে কেষ্টর। গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রত্যেক বছর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ধুমধাম করে কালীপুজো (Kali Puja) করতেন অনুব্রত। বিপুল সোনার অলঙ্কারে সাজানো হতো মায়ের (Kali Maa) মূর্তি। বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের (Bank) শাখার লকারে রয়েছে সেই গয়না। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে উপস্থিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডির (ED) আধিকারিকেরা।

বুধবার বারোটা নাগাদ বোলপুরের (Bolpur) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে এসে দাঁড়ায় ইডির গাড়ি। ব্যাঙ্ক চত্বর ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর জনা পাঁচের আধিকারিক প্রবেশ করেন ব্যাঙ্কের ভেতর। অনুব্রত মণ্ডলের কালীপ্রতিমার যে গয়না ব্যাঙ্ক লকারে রাখা আছে সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্যই ইডি আধিকারিকেরা ব্যাঙ্কে এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

   

বোলপুরের পার্টি অফিসে প্রত্যেক বছর বড় করে কালীপুজোর আয়োজন করতেন এখন জেলবন্দি তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। মা কালীর প্রতিমা সাজানো হতো সোনার অলঙ্কারে। সেই গয়নাই এই ব্যাঙ্কের শাখার লকারে রাখা থাকে। এই বিষয়েই খোঁজখবর নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকেরা এসেছেন বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ মোদীর সভায় উপস্থিত সন্দেশখালির মহিলারা, বাংলার প্রত্যেক মা-বোন আমার পরিবার! বললেন প্রধানমন্ত্রী

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ব্যাঙ্কের ভেতর প্রবেশ করে আধিকারিক এবং কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকেরা। এরপর কাগজপত্রও খতিয়ে দেখেন বলে খবর। অতীতে যখন গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব করা হয়েছিল, সেই সময়ও এই গয়নার প্রসঙ্গ উঠেছিল। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বর্তমানে তিহারে বন্দি বীরভূমের এই নেতা। এই পরিস্থিতিতে ফের এই অলঙ্কার নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকেরা।

anubrata mondal tihar jail

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে এই কালী পুজোর প্রচলন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধুমধাম করে পালন করা শুরু হয়। দলের শ্রীবৃদ্ধি যত হয়েছে, ত্তুই বেড়েছে পুজোর জাঁকজমক। মাঝে শুধু মাতৃবিয়োগ এবং স্ত্রী প্রয়াত হওয়ায় মা কালীর মূর্তিকে নিজের হাতে সাজাতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডল। ২০২১ সালে সোনার মুকুট, কানের দুল, বাউটি, গলার হার সব মিলিয়ে প্রায় ৫৬০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে মা কালীর মূর্তিকে সাজিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। ওই গয়নার তুল্যমূল্য বাজারদর প্রায় আড়াই কোটি টাকা ছিল বলে শোনা যায়। তবে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে পুজোর জাঁকজমক কমতে শুরু করে। বহুমুল্য সোনার অলঙ্কারের স্থানে আসে ইমিটেশনের গয়না।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর