বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ শনিবার কর্ণাটকের (Karnataka) বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) মোট ৬ টি জায়গায় হানা দেয় ইডি (ED)। PML আইন ২০০২ অনুসারে কেন্দ্রীয় সংস্থা এই অভিযান করেছে বলে জানা যাচ্ছে। চাইনিস লোন অ্যাপস মামলায় এই ৬ জায়গায় হানা দেয় ইডি। জানা যাচ্ছে মোট তিনটি অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপসের অফিসে হানা দেয় সেগুলি হল রেজরপে, পেটএম এবং ক্যাশফ্রী।
ইডির তরফ থেকে জানা যাচ্ছে এই অভিযান শুরু হয়েছে শুক্রবার রাতেই। এখনও চলছে সেই অভিযান। বেঙ্গালুরুর ৬ জায়গায় একসঙ্গে অভিযান করা হচ্ছে। এই অফিসগুলিতে চিনের কতরা নিয়ন্ত্রণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা যাচ্ছে এই ১৭ কোটি টাকা এসেছে চিনের কাছ থেকেই।
এই সংস্থাগুলির কাজের পদ্ধতিও উদ্ধার করতে পেরেছে ইডি। কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় নাগরিকদের ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধ ভাবি আমদানি করে। শুধু তাই নয়, এই কোম্পানিগুনি পুরোপুরি ভাবে চিন থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। শুধু তাই নয়, এই কোম্পানি গুলির মাথায় বসে আছে কোনও না কোন চিনের লোক।
তল্লাশির সময় ইডি আরও জানতে পারে যে এই কোম্পানিগুলি সরাসরি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে। এবং যত বেশি সম্ভব ব্যাঙ্কিং ডেটা যোগাড় করে তা চালান করা হয় চিনে। রোজার পে পাইভেট লিমিটেড, ক্যাশফ্রী পেমেন্ট এ পেটিএম পেমেন্ট সবায়েরই কর্মপদ্ধতি প্রায় একই রকম। এবং এই কোম্পানিগুলি সবকটিই চিন থেকে নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হয়।
ইডি জানায় টাকা হাওলা করার এটি একটি নতুন পদ্ধতি। ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রইম স্টেশন একটি মামলা দায়ের করেছে। জানা যাচ্ছে, এই মামলা অন্তত ১৮ টি এফআইআর-এর উপর নির্ভর কটে করা হয়েছে। সেই এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ছোট সংখ্যার লোনের জন্যও রীতিমতো অত্যাচার করে এই কোম্পানিগুলি। ইডির অভিযান এখনও চলছে। আরও একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলেই ধারণা কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের।