বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর এই সময়ে লাইমলাইটে আসে বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাটে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (Enforcement Directorate)। আর তাতেই উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫২ কোটি টাকা। বাংলায় প্রথম এই ঘটনা দেখে ‘থ’ হয়ে গিয়েছিল সকলে।
তারপর থেকে টাকা উদ্ধারে লাগাম পড়েনি। দিন দিন ক্রমশই বাড়তে থাকে দুর্নীতির টাকার অঙ্ক। এরই মধ্যে এবার আরও ২০ কোটি টাকার হদিশ পেল ইডি। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আরও বেশ বহু বেআইনি লেনদেনের হদিস মিলেছে। ইডি সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
যদি আসি টাকার হিসেবে তাহলে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রায় ১২৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বর্তমানে আরও যে ২০ কোটির সন্ধান মিলেছে সেগুলো উদ্ধার করতেও ইডি দ্রুত ময়দানে নামবে বলে জানা যাচ্ছে। এবার ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হলে শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় বাজেয়াপ্ত করা টাকার অঙ্ক গিয়ে পৌঁছবে ১৪৬ কোটিতে।
ইতিমধ্যেই এই ২০ কোটি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে ইডি। তবে কার বা কাদের কাছ থেকে এই টাকার হদিশ মিলেছে সে বিষয়ে এখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থার হাতে একে একে গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সরকারি আধিকারিক সহ অনেকেই।
পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন তৃণমূল যুবর নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রোমোটার তথা প্রযোজক অয়ন শীলেরও বিপুল পরিমান সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এক বছরেই ১৫০ কোটি! এবার পরবর্তীতে এটা কোথায় গিয়ে পৌঁছয় সেটাই দেখার।