বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। শিক্ষা ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগে আদালতে চলছে একের পর এক মামলা। ওদিকে রাস্তায় চলছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। বহুদিন ধরে ধর্না, মিছিল চাকরিপ্রার্থীদের। আর সেই আন্দোলন থামাতেই নাকি শিক্ষা দফতরের সুপারিশে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে কয়েক জনকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছিল এসএসসি (SSC Recruitment Scam)। মুখে নয়, এবার আদালতে নথি পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি (Enforcement Directorates)।
বর্তমানে জোর কদমে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। আগেই এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক। ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিন্হা এবং ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে।
ইডির দাবি, তদন্তের স্বার্থে শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সমরজিৎ আচার্যের বয়ান নিয়েছেন তারা। নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৮৩ জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল, এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে সমরজিতবাবুর বয়ান থেকেই।
চাকরি বিক্রির ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ সিংহ ওরফে ছোটুর মাধ্যমে অধিকাংশ নাম বেআইনি ভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। আর সেই সুপারিশ এসেছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহা মারফত। সেই সুপারিশের তালিকা ‘প্রিন্ট’ও করিয়েছিলেন সমরজিৎ। তার বয়ান থেকে বেআইনিভাবে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করার বিষয়টি সামনে এসেছে।
ইডির দাবি, নবম এবং দশমের মতো একই ভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যানেল মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৩৯ জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। সবটাই হয়েছিল বেআইনিভাবে। এও হয়েছিল শান্তিপ্রসাদের সুপারিশেই। ওই ৩৯ জনের মধ্যে ৯ বিক্ষোভকারীর নাম সুপারিশ করেছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: রেগে লাল! রাজ্যের সরকারি কর্মীদের নিয়ে বিরাট নির্দেশ মমতার, চিন্তায় ঘুম উড়ল সকলের
প্রসঙ্গত, নিয়োগে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। এরপর গ্রুপ-সি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা যে কমিটি তৈরি করেছিলেন তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। সেই সময়ই মূলত এই সমস্ত নিয়োগে দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ।