বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় অস্বস্তি ক্রমশ বেড়ে চলেছে কংগ্রেসের (Congress)। একের পর এক নয়া মোড় এসে চলেছে এই মামলায়। অতীতে জাতীয় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধীকেও (Rahul Gandhi) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। তদন্তের স্বার্থে বিগত কয়েকদিন ধরে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে দেখা যায় ইডিকে (ED)। গতকালই ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের অফিস সহ আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আর এবার ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিস সিল করে দিলো তারা। পরবর্তী সময়ে এই সকল স্থান থেকে দুর্নীতি সম্পর্কিত একাধিক নয়া তথ্য পাওয়া যাবে বলে অনুমান গোয়েন্দা সংস্থার।
এদিন ইডির পক্ষ থেকে ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিস সিল করার পাশাপাশি নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে যে, তাদের অনুমতি ছাড়া এই অফিসটি কোনোমতে খোলা যাবে না। উল্লেখ্য, এদিন সকালে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির পদক্ষেপ এবং বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সোনিয়া গান্ধী সহ অন্যান্য একাধিক কংগ্রেস সাংসদরা।
সুত্রের খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিস সিল করার পাশাপাশি দিল্লির এআইসিসি সদর দপ্তরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ লেখেন, “এদিন এআইসিসি সদর দপ্তরের বাইরে যেভাবে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি রাস্তা ব্লক করা হয়েছে, তার কারণ অত্যন্ত রহস্যজনক।”
উল্লেখ্য, গতকাল ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের অফিস থেকে শুরু করে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের অফিস এবং আরও দশটি স্থানে তল্লাশি চালায় ইডি। সাম্প্রতিক সময়ে ইডির পক্ষ থেকে জাতীয় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিগত বেশ কিছু সময় ধরে এই ঘটনায় ইডি দফতর থেকে শুরু করে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে সামিল হয় বহু কংগ্রেস কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে চলেছে বিজেপি আর এদিন এই মামলায় ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিস সিল করার ঘটনা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।