টালিগঞ্জ, বেলঘড়িয়ার পর এবার নয়াবাদ! অর্পিতার আরেক ফ্ল্যাটে হানা ইডির, মিলবে কি আরো টাকা?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি পার্থ ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি নগদ অর্থ, সোনা গয়না এবং একাধিক বিদেশি মুদ্রা। পরপর দুটি ফ্ল্যাট থেকেই পাওয়া গিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। বর্তমানে টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ, বেলঘড়িয়া এবং চিনার পার্কের পর অবশেষে অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেল ইডি (ED)। ফলে পুনরায় একবার বিপুল পরিমাণ ধন-সম্পত্তি পাওয়ার সম্ভাবনাই আরো প্রবল হয়ে উঠছে।

বর্তমানে নয়াবাদের পঞ্চসায়রে একটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে ইডি অফিসাররা। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে খবর পেতেই পঞ্চসায়রের একটি আবাসনে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরবর্তীতে গোটা রাত জুড়েই চলে তল্লাশি। রাতের দিকে উক্ত আবাসনে প্রিন্টার নিয়ে যাওয়ার কারণে জল্পনা আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমানে গোটা বাংলা জুড়ে একটাই প্রশ্ন, টালিগঞ্জ এবং বেলঘড়িয়ার পর কি আরো একটি ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া যেতে চলেছে কোটি কোটি টাকা?

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সাম্প্রতিক কালে নয়াবাদের এই ফ্ল্যাটে যাতায়াত ছিল না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। তবে অতীতে একাধিকবার তাঁকে সেখানে দেখা গিয়েছে এবং গভীর রাতের দিকেও সেখানে পার্টি চলত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে, চিনার পার্ক এলাকার একটি আবাসনেও গতকাল রাতে হানা দেয় ইডি। সেই আবাসন কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘ বহুকাল ধরেই নাকি ফ্ল্যাটের মেনটেন্যান্স দেননি অভিনেত্রী। অভিযোগ্য ২০২০ সাল থেকে মেনটেন্যান্স বাবদ ৩৮ হাজার টাকা এখনো বাকি রয়েছে তাঁর।

ইতিমধ্যেই এই দুটি আবাসনে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যাতায়াত ছিল কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে ইডি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি টালিগঞ্জে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি নগদ অর্থ, একাধিক সোনা গয়না, মোবাইল ফোন এবং বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরবর্তীতে এই মামলায় অভিনেত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে তারা।

arpita new

এরপরেই বেলঘড়িয়ার অপর একটি ফ্ল্যাট থেকেও ২৮ কোটি টাকা এবং বহু সোনা গয়না উদ্ধার করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একাধিক নয়া তথ্য সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে অর্পিতার দাবি, ফ্ল্যাটে কোটি কোটি টাকা থাকলেও সেই অর্থে তাঁর বিন্দুমাত্র অধিকার ছিল না, এমনকি কোনদিন হাত পর্যন্ত দেননি তিনি। তবে অপরদিকে এখনো পর্যন্ত ইডি অফিসারদের পর্যাপ্ত সহায়তা করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অবশ্য পরবর্তী সময়ে আরো একাধিক ফ্ল্যাটে হানা চালিয়ে কত টাকা সামনে আসে, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর