পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র অ্যাকশন! সিজিওতে পৌঁছলেন ‘সেই’ ব্যক্তি, পরিচয় সামনে আসতেই তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) হদিস পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের নির্দেশে ময়দানে নামে ইডি (ED), সিবিআই। তারপর থেকেই একের পর এক তলব। রাজ্যের মন্ত্রী থেকে পুরসভার চেয়ারম্যান, বাদ যায়নি কেউই। শুক্রবার পুর দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান (Former Chairman of Titagarh Municipality) প্রশান্ত চৌধুরীকে সিজিওতে তলব করে ইডি।

প্রসঙ্গত, এর আগেও প্রাক্তন এই পুর কর্তাকে তিন বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ইডির নোটিশ হাতে পেয়ে এরপরই গত বুধবার সাতসকালে ইডি দফতরে পৌঁছে যান টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। যদিও কিছুক্ষণ থেকে সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

যদিও বুধবার ইডি দফতর থেকে বেরোনোর সময় প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “আমাকে ওরা ডাকেনি আমি নিজেই এসেছিলাম, কবে ডাকা হতে পারে সেটা জানতে। ওরা বলেছে, ফোন করে দিন তারিখ জানিয়ে দেবেন। ” সূত্রের খবর, এরপরই গতকাল তাকে তলব করা হয়। ইডির নির্দেশ মত এদিন সকালে সিজিওতে আসেন টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন: দুর্যোগের ডঙ্কা বাজছে! শনিতেই ৭৫ কিমি বেগে উঠবে ঘূর্ণিঝড়, দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় হাই অ্যালার্ট?

ইডি সূত্রে খবর, প্রশান্ত চৌধুরী চেয়ারম্যান থাকাকালীন টিটাগড় পুরসভায় প্রায় ২৪০ জন কর্মীর নিয়োগের নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুরসভার পাশাপাশি প্রশান্ত চৌধুরীরর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যেসব নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেসব দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।

ed

প্রসঙ্গত, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, দুর্নীতির প্রথম সারিতে থাকা পুরসভার মধ্যে অধিকাংশই উত্তর ২৪ পরগনার। এই সকল পুরসভায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেক বেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর বেনিয়মে নিয়োগ হওয়া এই রকম দেড় হাজার কর্মীর খোঁজ তাদের হাতে এসেছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক পুরসভায় তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়। এরই মধ্যে ফের সিজিওতে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর