বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) কি দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে? তা নিয়েই চলছে আইনি লড়াই। আর এর মধ্যেই নতুন করে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে ইডি (ED)। সোমবার দিল্লিতে তলব করা হয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত আর এক ব্যবসায়ীকে। এদিন ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে।
এর আগে রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বীরভূমের এক চালকলের মালিক সঞ্জীব মজুমদার। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ইডি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্র মারফত খবর, বর্তমানে জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বেশ কিছু টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন এই সঞ্জীব। তা নিয়েই তদন্তকারীরা কথা বলতে চান।
গরু পাচার মামলা দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে। সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর ইডিও ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে তাঁকে। ইডি চায় তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে। তবে এই বিষয়ে বেশ কিছু আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করে ইডি। পাল্টা সেই আদালতেরই দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা। কেষ্টর শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে আদালতে জামিন চেয়েছেন আইনজীবী। গত শুক্রবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা বলা হলেও সেদিন তা হয়নি।
এই মামলার শুনানি হতে পারে আগামী ১ ডিসেম্বর শুনানি হতে পারে। প্রসঙ্গত, দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে সায়গলের মুখোমুখি বসাতে চায় ইডি। আপাতত সিবিআই-ইডির যৌথ আক্রমণে বেসামাল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। তবে সিবিআইয়ের তদন্তের বিষয় আলাদা, ইডির তদন্তের পরিধি আলাদা। ইডি আর্থিক তছরূপের যে নির্দিষ্ট আইন, সেই আইনে তদন্ত করছে। মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে সিবিআই বা অন্য কোনও এজেন্সি তদন্ত করতে পারে না। তদন্তকারী আধিকারিকরা অনুমান করছেন, গরু পাচার মামলায় প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। এই মামলার একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছতে জেরাই একমাত্র রাস্তা রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার সামনে।