বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) বর্তমানে দিল্লির তিহাড়ে ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কেষ্টটে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই একে একে তার ঘনিষ্ঠদের তলব করছে ইডি। দুদিন আগেই আসানসোল জেল সুপারকে তলব করেছে ইডি। আর এবার
আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্টের পর সিউড়ি থানার আইসিকে (IC Siuri Police) দিল্লিতে ডেকে পাঠালো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।
জানা গিয়েছে, শনিবার ইনস্পেক্টর-ইনচার্জ মহম্মদ আলিকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি নিয়ে তাকে যেতে বলা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারকাণ্ডে সরাসরি যোগ রয়েছে আইসি মহম্মদের। সেই সূত্রেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, ইডি সূত্রে আরও খবর, গত কয়েক মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের মামলা লড়ার বিপুল খরচও চালিয়েছেন সিউড়ি থানার এই আইসি। প্রসঙ্গত, আগামী ৫ এপ্রিল আসানসোল জেল সুপার কৃপাময় নন্দীকেও দিল্লিতে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কৃপাময়বাবুকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি নিয়ে আসতে হাজির হতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিস।
তলব প্রসঙ্গে জেল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমায় আগামী ৫ এপ্রিল তলব করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ডাকা হয়েছে, আমি এখনও জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই মতো কাজ করব।’’
প্রসঙ্গত, গতবছর সিবিআই এর হাতে গ্রেফতারির পর আসানসোল জেলেই ঠাঁই হয় অনুব্রতর। অন্যদিকে, গরু পাচারকাণ্ডের অন্যতম দুই অভিযুক্ত এনামূল হক ও কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনেও বহুদিন আসানসোল জেলেই বন্দি ছিলেন। সূত্রের খবর, এই সময়কালের মধ্যে তাদের সঙ্গে কারা কারা দেখা করতে এসেছিলেন সেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে ইডি। পাশাপাশি জেলে অভিযুক্তরা ফোন ব্যবহার করত কিনা সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
অনুব্রত আসানসোল জেলে থাকাকালীন একাধিকবার নানা বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কৃপাময়বাবুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই তার ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে রাজধানীতে তলব করেছিল ইডি। অভিযুক্ত কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে তাদের জেরা করা হবে বলেও জানা যায়। ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, কেষ্টর বাড়ির রাঁধুনি ও লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয় রজক, এক রাজমিস্ত্রি, যুবনেতা কৃপাময়কে। যদিও দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর কেষ্টর হিসাবরক্ষক কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি।