বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতে ব্যপক হারে বাড়তে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম (Cooking Oil Price)। ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা প্রভাব পড়তেও শুরু করেছে বাজারে। ভারতের ভাঁড়ারে আপতত যে পরিমাণ ভোজ্য সূর্যমুখী তেল মজুত রয়েছে তা দিয়ে চলবে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি অবধিই। কিন্তু তখনও ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতি ঠিক না হলে রাতারাতি আকাল দেখা দেবে সূর্যমুখী তেলের। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে দাম।
প্রতি বছর প্রায় ২.৫ মিলিয়ন টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করে ভারত। এর মধ্যে ৯০% ই আসে ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে। বাকি ১০% আসে আর্জেন্টিনা থেকে। ইউক্রেন এবং রাশিয়াই ভারতের মূল তেল রপ্তানিকারক৷ পাম এবং সোয়াবিন তেলের পর সূর্যমুখী তেল হল ভারতের তৃতীয় প্রধান ভোজ্য তেল। এই তেলের দাম চড়লে যে ভুগতে হবে আপামর দেশ বাসীকেই তা বলাই বাহুল্য।
অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ এডেবল অয়েল ট্রেডার্স এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে অপর্যাপ্ত উৎপাদনের কারণে ভারতকে চাহিদার ৬০% তেলই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। দেশে মোট ভোজ্য তেলের চাহিদা ২৩ মিলিয়ন টন। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বেশিদিন চললে তাই কার্যতই বিপাকে পড়বে ভারত। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ভারত প্রতি মাসে গড়ে ২-২.৫ লাখ টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করে যার ৭০% ইউক্রেন থেকে এবং ২০% রাশিয়া থেকে আসে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি অবধি সময়ের জন্য সূর্যমুখী তেল মজুত রয়েছে দেশে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যুদ্ধ না থামলে মার্চের শেষ থেকেই আকাল দেখা দেবে এই তেলের। বাজারে মিলবে না সূর্যমুখী তেল। মিললেও তার দাম হবে আকাশছোঁয়া। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যের যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে গত সপ্তাহেই ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে পাইকারিতে ১৫ টাকা (Indian Rupee) প্রতি লিটার। গত দুই দিনে দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ১০-১২ টাকা।
বর্তমানে যুদ্ধের কারণে সম্পুর্ন বন্ধ ভারত ইউক্রেন নৌযোগাযোগ। ফলে বিপুল ভোজ্য তেল সংকটের মুখে ভারত। পরিস্থিতি এরকম চলতে থাকলে যে গ্যাঁটের অতিরিক্ত কড়ির সঙ্গেই ভোগান্তি পোয়াতে হবে দেশবাসীকেই তা আর নতুন করে বলার অবধি রাখে না।