বাংলাহান্ট ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির জেরে মধ্যবিত্তের রান্নাঘর ও পকেটে আগুন লেগেছে। প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার জিনিসের দামই দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষত খাবার তেলের দাম আকাশছোঁয়া হচ্ছিল। এরই মধ্যে মধ্যবিত্তের হেঁশেলের জন্য সুখবর এল। সরষে, সোয়াবিন তেলের বীজ, অপরিশোধিত পাম তেল, পামোলিন এবং তুলো বীজের তেলের দাম কমেছে (Edible Oil Prices)। যদিও বাদাম তেল ও তেলের বীজের দাম অপরিবর্তিতই রয়েছে।
জানা গিয়েছে, দেশের বন্দরগুলিতে সস্তায় আমদানি করা তেল থাকায় এই দাম কমেছে। সূত্রের খবর, বিদেশে ভোজ্য তেলের দাম তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমেছে। ঘরোয়া তেলের বীজের দাম বেড়েছে। তাই জন্য সরষে, বাদাম, সোয়াবিন ও তুলোর বীজের তেলের দামের উপর চাপ পড়েছে। বাজার সূত্রে খবর, সস্তা আমদানি করা তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। না হলে সরষে ও সোয়াবিন তেল খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ প্রতিনিয়ত তেলবীজ শিল্পের বৃদ্ধির জন্য নীতির পরিবর্তন করে। ভারতও ধীরে ধীরে এই শিল্পে আত্মনির্ভর হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। এর জন্য ভারতকে তেলবীজ উৎপাদনের উপযুক্ত বাতাবরণ তৈরি করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর জন্য প্রথমে আমদানিকৃত তেলের উপর কর বসাতে হবে। ক্রেতা, বিক্রেতা ও উৎপাদক, কেউই এই কর থেকে ছাড় পাবেন না। সোয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে এই করছাড় আগামী ১ এপ্রিল শেষ হবে। তবে সূর্যমুখীর ক্ষেত্রে এটি চলবে।
বন্দরে সোয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি মূল্য ১০২ থেকে ১০৩ টাকা প্রতি লিটার। খোলা বাজারে ক্রেতারা এই তেল ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা প্রতি লিটারে কিনতে পারেন। কিন্তু দেশে এই তেল বিক্রি হয় ১৭৫ থেক ২০০ টাকা প্রতি লিটার দরে। এর জন্য তেলের দামে এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ভোজ্য তেল উৎপাদনে আত্মনির্ভর হতে চাইছে কেন্দ্র। এর জন্য সরকারকে একাধিক নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
বিশেষ করে দেশীয় তেলবীজ উৎপাদন ও বিক্রি বাড়াতে নীতি আনতে হবে কেন্দ্রকে। একইসঙ্গে কৃষকদের সুবিধার কথাও মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি, তেল মিলের পূর্ণক্ষমতা ব্যবহার, বিদেশি মুদ্রা বাঁচানো এবং বেকারত্ব কমানোর দিকেও নজর দিতে হবে সরকারকে। বর্তমানে সস্তা আমদানিকৃত ভোজ্য তেল ভারতকে এই শিল্পে আত্মনির্ভর করে তোলার পথে বাধার সৃষ্টি করছে।