বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন দিন ক্রমেই বেড়ে চলেছে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তালিকা। সম্প্রতি শিক্ষক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে হুগলীর যুব তৃণমূল নেতা (Trinamool Leader) শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। তিন দিনের ইডি হেফাজত শেষে সোমবার তাকে ফের আদালতে পেশ করা হয়।
শান্তনুকে গ্রেফতারের পর থেকেই একেবারে পেঁয়াজের খোসার মতো খুলে আসছে দুর্নীতি। এবার শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত এই নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি। গতকাল, এনআইএ-র বিশেষ আদালতে তদন্তকারী সংস্থা জানায়, সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
আর কী জানাল ইডি? ইডি সূত্রে খবর, যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল থেকে মিলেছে বেশ কিছু তথ্য। তবে সেই তথ্য আদালত কক্ষে প্রকাশ্যে বলা যাবে না। কী এমন গোপন তথ্য ফাঁস হল শান্তনুর ফোন থেকে? সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি ইডি। পাশাপাশি, তদন্তকারীরা শান্তনুর মোবাইল থেকে অ্যাডমিট কার্ড-সহ মোট ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা উদ্ধার করেছে।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া তালিকার অনেকেই এখন চাকুরিরত। এই সকল কর্মীদের প্রত্যেকের তথ্য কমিশনের থেকে সংগ্রহ করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে, ধৃত শান্তনু নিজের ওপর আসা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে অস্বীকার করে রাজনীতির ময়দানে তার ‘দাদা’ অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের ওপর দুর্নীতির সমস্ত দায় চাপিয়েছেন।
সোমবার যখন তাকে সিজিও থেকে বের করা হচ্ছিলো সাংবাদিকদের লাগাতার প্রশ্নে নেতা বলেন, ‘এই কেসের মেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল (Kuntal ghosh)। ও ডাইভার্ট করানোর জন্য এসব করছে। এর তার নাম বলছে।’ জোর গলায় বলেন, ‘কুন্তল একদিকে নজর ঘোরাচ্ছে আর অন্য দিকে নিজের টাকাগুলো সাইড করছে।’ কোথায় সাইড করছে? এই প্রশ্ন করার আগেই শান্তনু বলেন, ‘কুন্তল ওর টাকা অন্য রাজ্যে সাইড করছে।’
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তবে কী সত্যিই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পাচার হয়েছে ভিন রাজ্যে? হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনুর এই মন্তব্যের পর এই জল্পনা আরও কিছুটা জোড়ালো হল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অন্যদিকে, আদালতে শান্তনুর আইনজীবী জানায়, ‘‘কুন্তল কয়েকশো এজেন্টের থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে। এখন এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে অন্যত্র টাকা সরাচ্ছে কুন্তল।”