বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেকারত্বের জ্বালা বড় জ্বালা। কেড়ে নিল আরও এক তরতাজা প্রাণ। শিক্ষিত হয়েও, ঠিকমত কোন চাকরি জোগাড় করতে না পেরে অবশেষে জীবনযুদ্ধে হার মেনে নিলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার (kalna) পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির শ্রীরামপুর ঘোষপাড়া গ্রামের সন্ন্যাসী ঘোষ।
প্রতিদিনের মতই সারাদিনের কাজ সেরে রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন সন্ন্যাসী। সাধারণভাবে শুয়ে পড়ার সময় ঘরের আলো নিভিয়ে দিলেও, গতকাল রাতে তাঁর ঘরে আলো জ্বলতে দেখে কৌতুহলবশত তাঁর বাবা মা সন্ন্যাসীর ঘরের দিকে যায়। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকলেও, কোন সাড়া শব্দ না মেলায় মনের মধ্যে ডেকে ওঠা ভয়টাই সত্যি হয়। জানলা দিয়ে দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে তাদের ছেলের দেহ।
মুহূর্তের মধ্যে শোকের ছায়া ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি না মেলায়, এভাবে আত্মহত্যা করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে নাদনঘাট থানার পুলিশ পৌঁছিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পরিবার সূত্রে খবর, ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পাস করার পর বিএড করেন সন্ন্যাসী ঘোষ। তারপর থেকে নানাভাবে নানা জায়গায় চাকরির পরীক্ষা, ইন্টারভিউ দেওয়ার পরও কোন চাকরি জোগাড় করতে পারে না সে। শেষপর্যন্ত টিউশনি শুরু করলেও তাতে ভালো আয় না হওয়ায় সারাক্ষণ মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সন্ন্যাসী। তাঁর থেকে অল্প শিক্ষিত বন্ধুরা ভালো চাকরি পেয়ে যাওয়ায় মানসিক সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। অবশেষে এই জীবনযুদ্ধে মানসিক অবসাদকে কাটিয়ে উঠতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় পূর্ব বর্ধমানের সন্ন্যাসী ঘোষ।