বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা- এই দুই অস্ত্রে শান দিচ্ছে তৃণমূল (tmc)। ত্রিপুরায় (tripura) এই দুই অস্ত্রকে ধারালো করেই, বিজেপিকে মাত দেওয়ার পরিকল্পনা এঁটেছে সবুজ শিবির। ২০২৪ -এ দিল্লী জয়ের প্রথম ধাপ হিসেবে ত্রিপুরাকেই যেন টার্গেট করেছে ঘাসফুলের দল।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-এর ২৩ কর্মীকে আগরতলার হোটেল বন্দি রাখার ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়ে গোটা ত্রিপুরায়। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ত্রিপুরায় পা রাখছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে বেলা ১২টায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে দুপুর সাড়ে ৩ টে নাগাদ আগরতলার একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন রয়েছে অভিষেকের।
তবে অভিষেক সেখানে পৌঁছানোর আগেই ত্রিপুরবাসীকে চাঙ্গা করতে সেখানে হাজির হলেন দেবাংশু-জয়া-সুদীপরা। আগরতলা স্টেশনে তাঁদের দেখেই খেলা হবে শ্লোগানে ভরিয়ে দিল যুবরা। এটা দেখে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, সেখানে মহিলাদের পাশাপাশি যুবদেরও টার্গেট করেছে তৃণমূল। আর সেখানে যুব সম্প্রদায়কে হাতিয়ার করেই এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সবুজ শিবিরের।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ত্রিপুরার ক্ষমতায় বিপ্লব দেব আসার পর, রাজ্যে শিল্প নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেলেও, রাজ্যে শিল্পের তথা কর্মসংস্থানের কোন দেখা নেই বলেই অভিযোগ যুব সমাজের। শুধু কর্মসংস্থানই নয়, সেইসঙ্গে রাজ্য জুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নেরও অভাব দেখা দিয়েছে বলে দাবী তাঁদের।
আর সরকারের বিরুদ্ধে ত্রিপুরাবাসীর এই সকল ক্ষোভকে উস্কে দিয়েই নিজেদের জায়গা করার লক্ষ্যে রয়েছে তৃণমূল বাহিনী। ত্রিপুরা থেকে বিজেপির পাত্তারি গোটাতে ২০২৩-র নির্বাচনকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে সবুজ শিবির।