বাংলা হান্ট ডেস্ক: যে কোনো পরীক্ষাতেই গণটোকাটুকি একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও পরীক্ষার সময়ে একাধিক জায়গায় টোকাটুকির চিত্র এখনও পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু, এবার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে এমন এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড এবং মোরেনার জেলা শিক্ষা দফতর যা শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সকলের।
জানা গিয়েছে যে, শিক্ষা দফতরের তরফে পরীক্ষা চলাকালীন প্রাইভেট শিক্ষকদের থানায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, জেলা শিক্ষা আধিকারিকের এই নির্দেশের পর কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। অদ্ভুত এমন নির্দেশিকা যে এর আগে কোনওদিন শোনা যায়নি তা মেনে নিয়েছেন সকলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষায় বহুদিন ধরেই টোকাটুকির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, এর আগেও পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছিল জেলা শিক্ষা দফতর। কিন্তু তারপরেও, বহাল তবিয়তে চলছিল টোকাটুকি।
এদিকে, সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল প্রাইভেট শিক্ষকরাই পড়ুয়াদের টোকাটুকি করতে সাহায্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে টোকাটুকির মত অসাধু উপায়ের হাত থেকে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মধ্যপ্রদেশের জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জেলা শিক্ষা অধিকারিকের কাছ থেকে উল্লিখিত মর্মে নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই প্রতিটি ব্লকে প্রাইভেট শিক্ষকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকায় দেখা যায় মোট ১৫০ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে যারা পরীক্ষার সময় পড়ুয়াদের টোকাটুকিতে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে থাকেন।
পুরো ঘটনাটি নিয়ে জেলার ডিইও হরিভুবন সিং তোমর জানিয়েছেন যে, প্রাইভেট টিচাররা যাতে কোনওভাবে পড়ুয়াদের টোকাটুকি করতে সাহায্য করতে না পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে, মধ্যপ্রদেশের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই পরীক্ষা চলবে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত।
ওই পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই জেলা শিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী বহু প্রাইভেট শিক্ষককে থানায় থাকতে দেখা যায়। পাশাপাশি, কিছু কিছু প্রাইভেট শিক্ষককে ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারেও বসিয়ে রাখা হয়।