বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) থেকে শুরু করে প্রাথমিক টেট (Primary Tet) দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যখন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত অগ্রসর করে নিয়ে চলেছে সিবিআই এবং ইডি, আবার অপরদিকে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এর মাঝেই আন্দোলন প্রসঙ্গে বড় মন্তব্য করে বসলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Bas। শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন, “আন্দোলন করলে কি সবাইকে চাকরি দিতে হবে?”
উল্লেখ্য, একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় হেফাজতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, মানিক ভট্টাচার্যের মতো তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী এবং শিক্ষা আধিকারিকরা গ্রেফতার হয়েছেন। আবার অপরদিকে আন্দোলনে বসে চলেছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। তাদের একটাই আবেদন, “দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।”
সম্প্রতি সল্টলেকের এপিসি ভবনের নিকট টেট চাকরিপ্রার্থীর অবস্থান-বিক্ষোভে বসে। শুধু তাই নয়, আমরণ অনশন পর্যন্ত চলে দীর্ঘ দুদিন ধরে। পরবর্তীতে তাদেরকে জোরপূর্বক সেখান থেকে তুলে দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী, যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। এই সকল প্রসঙ্গে এদিন মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি বলেন, “অতীতে যে ভুল হয়েছে, তার জন্য আগামী দিনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে না। যদি তা হয়, তাহলে আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে কি জবাব দেব?” পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “বর্তমানে যে বিষয়ে সামনে উঠে এসেছে, তা হল মিডিয়া ঠিক, বিরোধী দল ঠিক, বিচারব্যবস্থাও নিশ্চয়ই ঠিক। তাহলে যে সরকার রয়েছে, সেটা ভুল। যারা আন্দোলন করে চলেছে, সবাইকে চাকরি তো দেওয়া যায় না। চাকরি যদি পেতে হয়, তাহলে যোগ্যতার ভিত্তিতে হতে হবে। এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।”
“যেমন নেট পাশ করলে সকলে কলেজে চাকরি পায় না, ঠিক তেমন ভাবে জয়েন্টে পাশ করলেও সবাই সুযোগ পায় না। এটা মেনে চলতে হবে”, বলেন ব্রাত্য। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি।