বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে নির্বাচনের আগে এবং পরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। শুধু প্রাথমিকের ক্ষেত্রে নয়, কিছুদিন আগে উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ তালিকা নিয়েও হাইকোর্টে ধাক্কা খেতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে (Trinamool Congress)। সাত দিনের মধ্যে নতুন করে তালিকা বের করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এসএসসিকে। সেই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা, তা হল প্রতি বছর কেন টেট পরীক্ষা নেবে না সরকার?
এমনকি এ নিয়ে সরব হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরাও। এবারে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। কিছুদিন আগে তিনি শিক্ষামন্ত্রীত্বে ফিরে আসার পরেই সঠিকভাবে চাকরি দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অনুরোধ পৌঁছেছিল তার কাছে। এদিন সেই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে ব্রাত্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার থেকে প্রতি বছর আমার চেষ্টা করব প্রাথমিক টেট ও এসএসসি নিতে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতোই রাজ্যের নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকবে।”
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) মতই আদালতে মামলাকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে এদিন কটাক্ষের সুর করিয়েছেন ব্রাত্য। তার মতে বেশকিছু মামলা আসলেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যাতে নিয়োগ আরও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া যায়। তার কথায়, “লক্ষ লক্ষ চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণে মামলা হয়েছে। যদি এটাকে আটকে দেওয়া যায়। একটু যদি শ্লথ করে দেওয়া যায় এর গতিকে।”
একথা ঠিক যে একুশের নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিরোধীদের হারিয়ে ক্ষমতায় ফিরলেও নির্বাচনের একটি বড় ইস্যু ছিল বেকারত্ব। শাসক দল সরাসরি একথা না মানলেও, রাজ্য শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা যে যথেষ্ট বেশি তাই এড়িয়ে যেতে পারবেন না কেউই। আর তাই বছর বছর টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হলে এবং স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হলে বেকারত্বের সংখ্যা যে অনেকটাই কমবে তা বলাই বাহুল্য। এখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এই প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।