বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহামারীর দাপটে বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। যার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও।স্বাভাবিকভাবেই, এর ফলে চরম ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ হারিয়েছেন নিজের কাজ। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে চাকরির আকালও।
এমতাবস্থায়, কিছু করে দেখানোর তাগিদ নিয়েই একেবারে উল্টো স্রোতে হেঁটে খবরের শিরোনামে উঠে এলেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা শিম্পি সাহা। স্বাতকোত্তর হয়েও গত ডিসেম্বর মাস থেকে তিনি শুরু করেছেন ফুচকার ব্যবসা। আর তাঁর এই অভিনব উদ্যোগ অবাক করেছে সকলকেই।
জানা গিয়েছে, M.A পাশ করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছিলেন শিম্পি। কিন্তু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলেও, বরাবরই তাঁর ঝোঁক ছিল ব্যবসার দিকে। পাশাপাশি, নিজে থেকেই কিছু করতে চাইছিলেন শিম্পি। আর সেই ইচ্ছে পূরণের জন্যই আর পাঁচজনের থেকে একেবারে অন্য পথে হাঁটলেন তিনি।
গত ডিসেম্বর থেকে কাঠালতলা শনি মন্দিরের ঠিক উল্টোদিকে শিম্পি ছোট্ট দোকান সাজিয়ে শুরু করেছেন তাঁর ফুচকার দোকান। আর এই কাজ রীতিমতো আনন্দের সাথেই করছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে শিম্পি জানান যে, ব্যবসা শুরু করার আগে তিনি ভেবেছিলেন হয়ত অনেক রকম নেতিবাচক কথা শুনতে হবে তাঁকে! কিন্তু তার এই অভিনব উদ্যোগে সায় দিয়েছেন সবাই! পাশাপাশি, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও পাশে থেকেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমনকি, তাঁর এই অভিনব উদ্যোগে মহিলারা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে একটি ক্যাফে খোলার ইচ্ছে আছে শিম্পির। পাশাপাশি, তাঁর এই সাহসী উদ্যোগে খুশি পরিবার থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
বর্তমানে ক্রমশ জনপ্রিয়তা বাড়ছে শিম্পির ফুচকা স্টলের। অনেকে তাঁর সাথে পরিচয় করতেও আসছেন। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকেও মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন তাঁর দোকানে। এদিকে, এই দুর্দিনে শিম্পির এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে। সমস্ত বাধা দূর করে শিম্পি যেভাবে নিজের ইচ্ছে পূরণের দিকে এগোচ্ছেন, তাঁর এই লড়াইকে স্যালুট জানাচ্ছেন সবাই।