সহপাঠীদের বিদ্রূপের শিকার ছোট্ট প্রাণ, নয় বছরেই শেষ করে দিতে চায় জীবন! ভাইরাল ভিডিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বুলি করা বা উত্যক্ত করা কথাটার সঙ্গে আমরা সকলেই অল্প বিল্তর পরিচিত। হলিউডি ছবি বা ওয়েব সিরিজ দেখে এই সম্বন্ধে একটা মোটামুটি স্পষ্ট ধারনা জন্মে গিয়েছে আমাদের। স্কুল বা কলেজে তুলনামূলক শক্তিশালীর কাছে বুলি হওয়ার ঘটনা আমরা প্রায়ই দেখেছি পাশ্চাত্য ছবিতে। সেই ঘটনাই যদি বাস্তব জীবনে দেখা যায় ভেবে দেখেছেন কেমন লাগবে? কিছু দিন ধরে একটি ভিডিও ঘোরাঘুরি করছে সোশ্যাল মিডিয়ার আনাচে কানাচে। এক ছোট্ট শিশুকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিওতে।

নয় বছরের ওই শিশুর নাম কোয়াদেন বেইলিস। অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে তাঁর একটাই বক্তব্য, নিজেকে শেষ করে দিতে চায় সে! মাত্র নয় বছরের জীবনে সে এমন কিসের সম্মুখীন হল যে নিজের জীবনই শেষ করে দিতে চায় কোয়াদেন! উত্তর, মানসিক অত্যাচার, বুলি করা। স্কুলে অন্যান্য শিশুদের বুলির শিকার ছোট্ট কোয়াদেন। কারন তাঁর উচ্চতা। জন্ম থেকেই খর্বকায় সে। অ্যাকনড্রোপ্লাসিয়া ডোয়ার্ফিসমে আক্রান্ত সে। তার জন্যই স্কুলে অন্যান্য বাচ্চারা উত্যক্ত করে তাকে, ব্যঙ্গ করে তার উচ্চতা নিয়ে।

https://twitter.com/S11E11B11A/status/1230428038304849920?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1230428038304849920&ref_url=https%3A%2F%2Fbengali.abplive.com%2Fnews%2Fworld%2Fi-want-someone-to-kill-me-mother-shares-heart-wrenching-video-of-bullied-son-667702

প্রতিদিন এই খোঁটা, বিদ্রূপ শুনতে হয় কোয়াদেনকে। ঘটনার দিনও এক সহপাঠী তার উচ্চতা নিয়ে খোঁটা দিয়েছিল। প্রতিদিন সহ্য করতে করতে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে কোয়াদেনের। গাড়িতে মা ইয়ারাকা বেইলিসের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। সমানে বলতে থাকে, ‘কেউ যদি আমার বুকে ছুকি মেরে দিত। আমি চাই আমাকে কেউ মেরে ফেলুক’।

৬৭৭৭৭৬৭৬

সন্তানের কান্না দেখে স্থির থাকতে পারেননি মাও। অসহায় গলায় তিনি বলতে থাকেন, উত্যক্ত করা হলে কারওর অবস্থা কতটা করুন হয় সেটা বোঝাতেই এই ভিডিও করেছেন তিনি। কোয়াদেনকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায় সেই বিষয়েও সহায়তা চেয়েছেন তিনি। কাউকে উত্যক্ত করলে তার পরিবারের ওপর কতটা প্রভাব পড়ে সেটা সবাই জানুক, এমনটাই চান তিনি বলে ভিডিওতে মন্তব্য করেছেন ইয়ারাকা। এই ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইয়ারাকার মর্মস্পর্শী আবেদন শুনে চোখে জল নেটিজেনদেরও। আর কোনও শিশুকে যাতে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয় তেমনটাই চান নেটজনতাও।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর