বাংলা হান্ট ডেস্ক: সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ চাই আন্ডে। সকাল হোক কিংবা রাতে যেকোনো সময় খাবারের পাতে ডিম (Egg) হলেই হল। পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ এই ডিম শরীরে বিভিন্ন কাজে লাগে। শুধু পুষ্টি নয় একই সাথে স্বাদেও এর জুড়ি মেলা ভার। ডিম পোচ থেকে শুরু করে ডিমের কারি, ভাপা বিভিন্ন রকমের পদ জিভে জল আনে। সকাল বিকেল তো ডিম খাচ্ছেন কিন্তু কখনো ডিম ভাঙার পর কুসুমে লাল রঙের রক্তের দাগ দেখেছেন? জানেন এটি আপনাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর। না জেনেই খেয়ে যাচ্ছেন। তাহলে জেনে নিন এটি শরীরের উপর কতটা প্রভাব ফেলে।
ডিমের (Egg) কুসুমে থাকা রক্তের দাগ কি ক্ষতিকর?
অনেক সময় ডিমের (Egg) কুসুমে লাল রঙের রক্ত কিংবা মাংস দেখা যায়। অনেকেই এটা না জেনে রান্না করে খেয়েও নেন। আবার কেউ কেউ ফেলে দেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, মুরগির ডিম্বনালী দিয়ে ডিম যাওয়ার সময় তাতে মাংসের টুকরো বা রক্ত মিশে যায়। পরবর্তীতে ওই রক্তই ডিমের মধ্যে থেকে যায়। তবে এটি খুব একটা ক্ষতিকারক নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সঠিকভাবে রান্না করে খাওয়া জরুরী: চিকিৎসকদের মতে, ডিমের (Egg) কুসুমে থাকা ওই লাল অংশটি খুব একটা শরীরে ক্ষতি করেনা। তবে অবশ্যই সেক্ষেত্রে ভালো করে রান্না করতে হবে। সঠিকভাবে ভেজে নেবেন কিংবা সঠিকভাবে সেদ্ধ করে নিয়ে খাবেন। অনেকেই আছেন যারা ডিমের কুসুম থেকে ওই লাল অংশটি বাদ দিয়ে তারপর রান্না করেন। তাতেও খুব একটা ক্ষতি হয় না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু কুসুমেই নয় একই সাথে ডিমের সাদা অংশেও এমন দাগ থাকলে খুব একটা অসুবিধা হয় না।
আরও পড়ুনঃ ৩১ ডিসেম্বরেও ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ! কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম খবর
পরীক্ষা করে বাজারে ডিম আসে: জানা গিয়েছে, হয়তো ৯৯% ডিমের মধ্যে ১% ডিমের কুসুমে এমন দাগ দেখতে পাওয়া যায়। কারণ ডিম (Egg) বাজারে আসার আগে ক্যান্ডেলিং পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে, জোরালো আলোর মাধ্যমে কুসুমের ভিতরটি দেখা হয়। আর তখনই রক্তের দাগযুক্ত ডিম থাকলে বাতিল করা হয়। ফলে লাল রক্ত লাগা ডিম খুবই কম পাওয়া যায়। কিন্তু সাদা খোলসযুক্ত ডিমগুলিতে রক্তের দাগ কম পাওয়া গেলেও খয়েরী রঙের খোলসযুক্ত ডিমে রক্তের দাগ বেশি থেকে যায়। কারণ খয়েরী রং হওয়ার কারণে অনেক সময় পরীক্ষার পরও সেই দাগ ধরা পড়ে না। যার জন্য সমস্যা হয়।
ডিমের সাদা অংশে বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব: চিকিৎসকদের মতে, যদি ডিমের (Egg) সাদা অংশ গোলাপি লাল কিংবা সবুজ হয়ে যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ ওই ডিম ফেলে দেওয়া উচিত। কারণ তাতে কোন বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব পড়েছে যার কারণে ডিমের রং বদলে গিয়েছে। আর ঐ ডিম খেলে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই ডিম রান্নার সময় এই বিষয়গুলির প্রতি বিশেষ ধ্যান দিন। এতে আপনারই লাভ।