বাংলাহান্ট ডেস্ক : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আগুনে জ্বলছে সারা বাংলাদেশ। আকাশ ছোঁয়া দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত মানুষেরা। বাংলাদেশে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা মূল্যে! ঠিকই পড়েছেন, এমনই ভয়ানক দাম বেড়েছে বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের।
সংসার চালাতে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে সে দেশের আমজনতার। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তারা ডিমের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বিদেশ থেকে বেশি পরিমাণ ডিম আমদানি করার চেষ্টা করছেন। রাজধানী ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশে কমে গিয়েছে ডিমের বিক্রি। খুচরো দোকানের পাশাপাশি হোটেল, রেস্টুরেন্টেও কমেছে ডিমের বিক্রি। অস্বাভাবিক হারে ডিমের মূল্য বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু হোটেলের মেনু থেকে আপাতত বাদ রাখা হয়েছে ডিমকে। কিন্তু আচমকা কেন এতটা পরিমাণ বেড়ে গেল ডিমের দাম?
জানা গেছে, পোল্ট্রির খাবারের দাম হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুট্টা সাধারণত পোল্ট্রি মুরগিদের প্রধান খাবার। এই ভুট্টার দাম প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে। তাই পোল্ট্রি মালিকেরা এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে দাম বাড়িয়েছেন ডিমের। ঢাকার এক হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বর্তমানে ডিম দিয়ে এক প্লেট ভাত খেতে গেলে খরচ করতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এর ফলে আগে যদি প্রতিদিন ৩০ প্লেট ডিম – ভাত বিক্রি হতো সেখানে এখন ১০ প্লেট বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের পাশাপাশি বাংলাদেশের বৃদ্ধি পেয়েছে সয়াবিন ও পেঁয়াজের দামও। ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন। এছাড়াও ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।