মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে আলু পেঁয়াজের পাশাপাশি ডিমও এক নিত্যকার খাদ্য। এর আগে আলু পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়লেও ডিমের দাম মধ্যবিত্তকে খানিকটা স্বস্তিতে রেখেছিল। এবারবাড়তি চাহিদা ও জোগানের ঘাটতির কারনে ডিমেরও দাম বাড়ছে।
ইতিমধ্যেই প্রতি পিস ডিমের দাম ৭ টাকায় কিনতে হচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্তকে। ব্রান্ডেড ডিমের দাম পৌঁছে গিয়েছে ১০ টাকাতেও।
কেন এই দাম বৃদ্ধি? ব্যাবসায়ীদের মতে, গ্রাহকরা করোনভাইরাস সংক্রমণের প্রথম পর্বে ভয় পেয়ে ডিম খাওয়া কমিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা এখন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ডিম খাচ্ছেন। যার ফলে চাহিদা বেড়েছে।
গত ছয় মাসে খুচরা ডিমের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল ও মে মাসে প্রায় ৪ টাকা ছিল সেখানে সেপ্টেম্বরে তা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে মূলত সরবরাহের ঘাটতির কারণেই।
পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন প্রায় ২.৭ থেকে ২.৮ কোটি ডিম খাওয়া হয়, যেখানে প্রতিদিনের উত্পাদন দাঁড়ায় ১.৮ কোটি। আরামবাগ হ্যাচারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রসূন কেআর রায় বলেছেন, মহামারীর কারণে পোল্ট্রি ক্ষেত্রে প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ পোল্ট্রি ফেডারেশনের অন্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হোটেল এবং রেস্তোঁরাগুলি ফের চালু সাথে সাথেই ডিমের চাহিদা বাড়ছে। সামনে পুজোয় আরো বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। সব মিলিয়ে ডিমের দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।