বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা (Egra)। এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহতের সংখ্যাটা আরও বেশি। যার অবৈধ কারখানার জন্য এত গুলো মানুষের প্রাণ গেল, তাকে এখনও পর্যন্ত ধরা গেল না। সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে নিজে পালিয়ে বাঁচলেন। গোটা ঘটনার মূলে যেই কৃষ্ণপদ তার আসল পরিচয় কী?
খাদিকুল গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ বাগ (Krishnapada Bag)। জানা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের থেকে কিছু কম নন বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ। বাম জামানায় সিপিএম করতেন, পরে যোগ দেন শাসকদল তৃণমূলে। প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে একের পর জায়গা দখল করেছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চালিয়েছেন বাজির কারখানা।
এই বাজি বানাতে গিয়েই নিজের ভাই ও কাছের কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। তবুও বাজির নেশায় মশগুল কৃষ্ণপদ। ২০১১সালে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন তৃণমূলে। এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত। ২০১৩ – ২০১৮ সাল অবধি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেই ওই বাজি কারখানার জায়গা দখল করেন কৃষ্ণপদ।
সূত্রের খবর, আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে বাজি তৈরি করতে গিয়ে কৃষ্ণপদের বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, সেই ঘটনায় প্রায় যায় নিজেরই ছোট ভাই বাদল বাগের মৃত্যু হয়। তবে তাতেও থামানো যায়নি কৃষ্ণকে। বাড়ির বদলে এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বাজির কারখানা গড়ে তোলে। যার থেকে তার বাড়ির দূরত্ব চারশো মিটার মতো।
এর আগেও একাধিকবার ওই কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
পূর্বে ২০২২ সালে তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তবে কোনোক্রমে কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে যায় কৃষ্ণ। তারপর আবার রমরমিয়ে চলছিল কারখানা। কীভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় এই অবৈধ কারখানা চালাচ্ছিলেন কৃষ্ণ? অনেকে আবার বলছেন বাজি নয়, বোমা তৈরী হচ্ছিল কারখানায়। কাদের হাত ছিল তার মাথার ওপর? শুধুই কী অর্থ লোভ নাকি এর নেপথ্যে বড় কোনো কাহিনী! ক্রমশ্যই ঘনাচ্ছে রহস্য।