ছিঁড়ে দেওয়া হল উর্দি! এগরায় পুলিশকে লাঠি তাড়া গ্রামবাসীদের, কোনোক্রমে পালিয়ে বাঁচলেন IC

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার দুপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার (Egra) ১ নম্বর ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত একাধিক। অন্যদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা এলাকা, ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা।

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশকর্মীরা (Police) সেখানে পৌঁছলে মানুষ তাদের বিরুদ্ধে তাড়া করতে শুরু করেন। অভিযোগ, অবৈধ বাজি কারখানার কথা বহুবার পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, কারখানার মালিকের কাছ থেকে পুলিশ মাসে মাসে এসে টাকা নিয়ে যেত বলেও অভিযোগ।

এদিন পুলিশ গ্রামে পৌঁছেতেই তাদের ওপর চড়াও হন স্থানীয়রা। এগরা থানার আইসি সহ পুলিশকর্মীদের ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি তাদের দেহ উদ্ধারে বাধা দেন এলাকাবাসী। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন এক কন্সটেবল।

egra blast

এখানেই শেষ নয়, কর্মরত পুলিশের উর্দি টেনে ধরে ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লাঠি নিয়ে তাড়া করছেন গ্রামবাসীরা, এমন দৃশ্যও উঠে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি না দিলে মৃতদের দেহ উদ্ধার করতে দেবে না স্থানীয়রা।

অন্যদিকে, গোটা এই ঘটনা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন বারংবার রক্ষকই আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে! কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি কালিয়াগঞ্জ ঘটনায় কিভাবে পুলিশকে থানার ভেতরে ঢুকে তাদেরই লাঠি দিয়ে প্রহার চালিয়েছে উত্তপ্ত জনতা। সেই সময় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল থানায়। ভয়ে টেবিলের তলায় মাথা লুকিয়েছিল পুলিশ। আর এদিন এগরার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এই নিয়ে প্রশ্ন রাখলে তিনি বলেন, “সব মিছিলে CPM, BJP বলে বেড়ায় পুলিশ পেটাও!” সত্যিই কী বিরোধীদের মন্তব্যেই মিলছে সাহস? নাকি প্রশাসনের ওপর একেবারেই আস্থা হারিয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ! আজকের ঘটনার পর এই প্রশ্নই যেন আরও মাথা চারা দিয়ে উঠছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর