বাংলা হান্ট ডেস্ক : এগরা বিস্ফোরণ (Egra Blust Case) কাণ্ডে মৃত্যু হল মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। জানা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর ক্ষতবিক্ষত ছিলেন মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগ৷ রক্তাক্ত অবস্থাতেই ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বাড়ি ছাড়েন তিনি৷ তবে বেশিদূর যাওয়ার ক্ষমতা তাঁর ছিল না তা বুঝেছিল রাজ্যের গোয়েন্দা আধিকারিকরা (Crime Investigation Department)। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি।
বুধবার সকালেই ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দেয় সিআইডির বিশেষ আধিকারিকের দল৷ এরই মধ্যে ভানুর ঘনিষ্ঠ ৪ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়৷ গতরাতেই খোঁজ মেলে ভানুর। সিআইডি আধিকারিকদের হাতে ধরাও পড়ে যান ভানু৷ ভানুর পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগকেও৷
গ্রেফতার করা হলেও ভানুকে এখনই এ রাজ্যে আনা সম্ভব ছিল না৷ ওড়িশায় পৌঁছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন ভানু। ওড়িশার কটকের রুদ্র নার্সিংহোমেই ভর্তি ছিলেন তিনি৷ তাঁকে বেডের উপরে কলাপাতা বিছিয়ে শুইয়ে রাখা হয়। সেই ছবিও প্রকাশ্যে আসে সংবাদমাধ্যমের দৌলতে। পাহারায় ছিল ওড়িশা পুলিস।
জানা যাচ্ছে, সিআইডির পরিকল্পনা ছিল একটু সুস্থ হলেই ভানুকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু তা আর হল না। তার আগেই মৃত্যু হল এগরা বিস্ফোরণ কান্ডের মুল অভিযুক্ত ভানু বাগের।
বিস্ফোরণের পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগকে৷ গতকাল থেকেই তার তল্লাশিতে নামেন সিআইডি আধিকারিকেরা৷ ওড়িশায় পাঠানো হয় বিশেষ দল৷ ৪ জনকে আটক করে ভানু সম্পর্কে চলে জিজ্ঞাসাবাদও৷ এরপরই খোঁজ মেলে তাঁর। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মৃত্যু হল ভানু বাগের।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন৷ এখনও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকেই৷ এরই মধ্যে ২ দুজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে৷ সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা৷