উলট পুরাণ! দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ একাধিক কর্মী-সমর্থকের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার বুকে অস্বস্তি যেন কমার কোনও লক্ষণই নেই। দিনের পর দিন সেই অস্বস্তি আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে শাসকদলের। একদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) এবং প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের বারংবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে চলেছে, আবার অপরদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিতে যোগদান করে চলেছেন অসংখ্য মানুষ। সম্প্রতি, তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরের হাত ধরেন বহু তৃণমূল সদস্য কর্মীরা। এর মাঝেই আবার উত্তরবঙ্গেও একাধিক মানুষ হাতে তুলে নিলেন বিজেপির (BJP) পতাকা। তবে আচমকা এহেনো রাজনৈতিক উলট পুরাণ কেন?

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, যেভাবে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি মামলায় ক্রমশ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের নাম যুক্ত হয়ে চলেছে, তার দরুণ শাসক দলে আর কেউ থাকতে চায় না। সম্প্রতি এক বিজেপি নেতার কথায়, “যতদিন এগোবে, তত মানুষ দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেবেন। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসেও আর কেউ থাকতে চান না।”

সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হন। শুধু তাই নয়, এছাড়াও অন্যান্য একাধিক তৃণমূল নেতারা ইডির র‍্যাডারে রয়েছে বলে খবর। এর মাঝেই সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস দল ছেড়ে প্রায় ৫০ জনের উপর কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। আর এবার উত্তরবঙ্গেও সেই একই দৃশ্য ধরা দিলো। গতকাল জলপাইগুড়ির মাল বিধানসভা অন্তর্গত ক্রান্তি ব্লকে আটটি পরিবারের সকল সদস্যরা হাতে তুলে নেন ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা। এক্ষেত্রে তৃণমূলের নৈরাজ্য এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আরো বহু মানুষ বিজেপিতে যোগদান করবে বলে দাবি করেছে পদ্মফুল শিবির।

এদিন বাংলায় বিজেপি নেতৃত্বের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এ সংক্রান্ত ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয়, “তৃণমূলের নৈরাজ্য, অপশাসন, দুর্নীতি এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য এবং দেশ গঠনের সংকল্প নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার মাল বিধানসভার ক্রান্তি ব্লকে ৮টি পরিবার ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন।” ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনা শাসক দলকে আরো অস্বস্তিতে ফেললো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর