বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের একাধিক গ্রামকে সেরা পর্যটন গ্রামের খেতাব দেয় রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএন-ডব্লুউটিও)। এবছর সেই প্রতিযোগিতায় ঢুকে পড়েছে কালিম্পং এর একাধিক গ্রাম। রাজ্যের জেলাস্তর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে আবেদন পৌঁছাতে হয় ইউএন-ডব্লুউটিও’র দফতরে।
এরপর গ্রামের পর্যটনের বিকাশ, আর্থিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন, পরিবহণ ব্যবস্থা, পরিকাঠামো, লিঙ্গ বৈষম্য, মহিলাদের উত্তরণ, কর্মসংস্থান, ডিজিটালাইজেশনের উন্নতির মতো নানা বিষয় খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বছর যে গ্রামগুলি প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে সেই নাম গুলির নাম গত ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয়।
এবার শুরু হয়েছে আগামী বছরের প্রস্তুতি। সরকারিভাবে কালিম্পং জেলার আটটি জায়গাকে মডেল গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ঠিক করা হয়েছে এগুলির মধ্যে থেকে বাছাই করে নাম পাঠানো হবে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার কাছে। যদি স্বীকৃতি মেলে তাহলে প্রচারের পাশাপাশি মিলবে আর্থিক সাহায্য।
আপাতত মডেল গ্রাম হিসেবে বাছাই করা হয়েছে কালিম্পং (Kalimpong) জেলায় ১ নম্বর ব্লকে পানবুডারা ও চুইখিম, লাভা ব্লকে নোকডারা ও ইচ্ছেগাঁও, পেডং ব্লকে রিশপ ও মুলখাগড়া, গরুবাথান ব্লকে সুন্দরবস্তি ও পারেনটারকে। রাজ্যের শীর্ষ কর্তারাও জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন গ্রামীণ পর্যটনের ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নতির জন্য।
রাজ্য প্রশাসনের এক সচিব জানিয়েছেন, “গ্রামীন পর্যটনে অসাধারণ কাজ করা জায়গাগুলিকে দেওয়া হয়েছে এই শিরোপা। এলাকার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশের দিকে খেয়াল রেখে যেখানে সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটিয়ে কাজ করা হচ্ছে সেই জায়গাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বিশ্ব পর্যটন সংস্থা।”
উত্তরবঙ্গের চা বাগান, জঙ্গল, পাহাড়ের পাশাপাশি কলকাতা লাগোয়া গ্রামীণ এলাকায় পর্যটনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করতে বলা হয়েছে। গুজরাট, রাজস্থানের মতো জাতীয় সড়কের ধারে মডেল গ্রাম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যটন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,”দেশ জুড়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে গ্রামীণ পর্যটনকে তুলে ধরতে। তাতে বিভিন্নভাবে শামিল হচ্ছে রাজ্যও।”