বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ এবং তারপরে খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকি, কয়েক মাস আগেই ঘটা হাঁসখালি কাণ্ডে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। এমনকি, ওই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরেও তৈরি হয় বিতর্ক। পাশাপাশি, সরব হয় বিরোধীরাও। এছাড়াও, একটা সময়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বয়ং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
পাশাপাশি, গোবরডাঙা, শান্তিনিকেতন, হাওড়া সহ একাধিক জায়গায় বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। যদিও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের কর্মীদের। এমতাবস্থায়, ফের রাজ্যে সামনে এল শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে গিয়েছে খুনের ঘটনাও।
জানা গিয়েছে যে, শীতলকুচিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর অনুযায়ী, বোনের “শ্লীলতাহানির চেষ্টা”-র জন্য অভিযুক্তকে হত্যা করেছে দাদা। মূলত, গত শুক্রবার শীতলকুচির রাজার বাড়ি এলাকায় এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। আর সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি জানতে পারে পুলিশ। পাশাপাশি, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত যুবক ওই খুনের কথা স্বীকার করেছে। পাশাপাশি, ওই যুবক জানিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় তার বাড়িতে গিয়ে হঠাৎই তার নাবালিকা বোনকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে মৃত যুবক। তারপরই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে নাবালিকার দাদা তথা খুনে অভিযুক্ত ওই যুবক।