বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনে ফের ধর্ষণের ঘটনা মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। এই নিয়ে চারবার। ১৮ বছরের তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল পাঁচজনকে। তাদের মধ্যে তিনজন নাবালক। তরুণীর দাদাকে কুয়োয় ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা।
সাত জনের এক দল দুষ্কৃতীর যৌন লালসার শিকার হয় ১৮ বছরের এক তরুণী। তার দাদাকে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন নাবালক। লকডাউনের সময় এই নিয়ে চতুর্থ ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষী হল মধ্যপ্রদেশ। বুধবার রাতে বেতুল (Betul) জেলায় ঘটে এই ঘটনা। মোটরসাইকেলে চেপে বোনকে নিয়ে ফিরছিলেন মেয়েটির ২১ বছরের দাদা। বেতুলের পুলিশসুপার ডিএস ভাদোরিয়া জানিয়েছেন, রাত ৮টা নাগাদ পাধারে পেট্রল ভরার জন্য নেমেছিলেন দুই ভাই-বোন। সেখান থেকেই তাঁদের অনুসরণ করা শুরু করে দুষ্কৃতীরা। সাত জন মিলে ভাইবোনকে তাড়া করে নিয়ে গিয়ে একটি ফাঁকা জায়গায় তাঁদের পথ আটকায়।
মেয়েটির অভিযোগ, তার দাদাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি সাহায্য চেয়ে চিত্কার করছিলেন। কিন্তু লকডাউনের ফাঁকা রাস্তায় তাঁর ডাক কারও কাছে পৌঁছয়নি। এরপর তাঁকে টানতে টানতে একটি কুয়োর কাছে নিয়ে গিয়ে সেখানে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর কাছের একটি জঙ্গলে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে চারঘণ্টা ধরে চলে গণধর্ষণ।
ধর্ষণের পর বাইকে মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৪০০ কিমি দূরে নিয়ে যায় লম্পটরা। অনেক দূরে কোথাও ফেলে যাওয়ার উদ্দেশে তারা এটা করে বলে মনে করছে পুলিশ। রাত নটা নাগাদ কোনওক্রমে কুয়ো থেকে উঠতে সক্ষম হয় নিগৃহীতার দাদা। বোনকে দেখতে না-পেয়ে সে স্থানীয়দের সাহায্য চায়। তার থেকে ভয়ংকর ঘটনা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাত ২টো নাগাদ খবর পেয়েই তারা তল্লাশি শুরু করে। কাপ্পা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় এক অভিযুক্তকে। তাকে জেরা করে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।