বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বড়োসড়ো স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির! ফের অমিত শাহকে (Amit Shah) অভিযোগের হাত থেকে রেহাই দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেই সঙ্গেই জানিয়ে দিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় আপত্তিজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গেরুয়া রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে গত ২৫ নভেম্বর অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘এই ধরনের দাঙ্গার মাধ্যমে কংগ্রেস ভোট ব্যাঙ্ক শক্তিশালী করে সমাজের একটি বড় অংশের প্রতি অবিচার করেছে। কিন্তু ২০০২ সালে শিক্ষা দেওয়ার পর ওরা হিংসার পথ ছেড়ে দেয়। ওরা ২০০২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত হিংসায় লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থেকেছে। যারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় লিপ্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে বিজেপি গুজরাটে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এরূপ মন্তব্যের পরই শোরগোল পরে যায় রাজনীতির অন্দর মহলে। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের জেরে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনে। পাশাপাশি অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, অমিত শাহ নিজের বক্তব্যে ‘ওরা’ বলতে মুসলিমদের ইঙ্গিত করেছেন। তিনি সরাসরি মুসলিমদের হুঁশিয়ারি দিয়ে হিন্দুমন জয় করার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশর মন্তব্য ছিল, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচারে অমিত শাহের ওই মন্তব্য বিরাট প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
তবে বহু জলঘোলা হওয়ার পরও এ বিষয়ে কমিশন তরফে জানানো হয়েছে, অমিতের বক্তৃতায় কোনও সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়নি। তাই এটি আচরণবিধি লঙ্ঘনযোগ্য বলে গণ্য করা হবে না। সূত্রের খবর, অমিত শাহের ভাষণ নিয়ে কমিশনে যারা অভিযোগ করেছিলেন তাদের অন্যতম একজন হলেন, কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রকের অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইএএস শর্মা এবং অসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষক অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের প্রতিষ্ঠাতা জগদীপ ছোকার প্রমুখ। জানা গিয়েছে তারা এখনও কমিশন তরফে এই বিষয়ে সরাসরি কোনো জবাব জবাব পাননি।
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্র গেরুয়া বাহিনীর অন্যতম প্রধান এই সৈনিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। তবে প্ৰতিবারই স্বস্তির মুখ দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবারেও তার ব্যাতিক্রম ঘটল না। তবে কমিশনের উদার হস্তের এই ভূমিকা বারংবার বিরোধী সহ অভিযোগকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে।