বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা ভোট (WB Assembly Elections)। ছাব্বিশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল, বিজেপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। বাংলার মসনদ কে দখল করবে? ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর। শীঘ্রই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। এরপর এই পদে কে বসতে পারেন, প্রকাশ্যে এসেছে সেই নাম (Election Commission of India)।
রাজীবের পর দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে হচ্ছেন (Election Commission of India)?
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তথা মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদ থেকে অবসর নেবেন রাজীব। এরপর এই পদে কে বসবেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। গুঞ্জন বলছে, দেশের পরবর্তী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে দেখা যেতে পারে জ্ঞানেশ কুমারকে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ক বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই সম্ভবত তাঁর নাম ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবারের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল। ৪৮০ জন প্রার্থীর লিস্ট থেকে দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদের জন্য ৫টি নাম পাঠাবে সার্চ প্যানেল। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হবে (Election Commission of India)। গুঞ্জন যা বলছে, সেই অনুযায়ী জ্ঞানেশ কুমার এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে গাফিলতি করেছে পুলিশ’! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কোন মামলায়?
এক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, ১৯৮৮ সালের ব্যাচের কেরল ক্যাডার হিসেবে আইএএস হন জ্ঞানেশ (Gyanesh Kumar)। তিনি সমন্বয় মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব। কাজ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের সচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন।
জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে জম্মু এবং কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির সময় জ্ঞানেশ কুমার অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাশ্মীর ডিভিশনের যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরের বছর তিনি অতিরিক্ত সচিব হলে অযোধ্যা মামলা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের রায় বিষয়ক সব জিনিস দেখভালের দায়িত্বে থাকা ডেস্কের দায়িত্ব পান। এর মধ্যে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্ট গঠনও আছে। এবার তাঁকেই দেশের পরবর্তী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে দেখা যাবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে (Election Commission of India)। আপাতত অফিশিয়াল ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।